মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একা নরেন্দ্র মোদিকে সামলাতেই নাস্তানাবুদ অবস্থা। সঙ্গী হয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের অভিযোগ, সর্বশক্তি দিয়ে গুজরাটে শাসক গেরুয়া শিবিরকে ফের ক্ষমতায় ফেরাতে সংকল্প করেছে কমিশন। যখন মোদি ঝলকানিতে চোখে হাত বিরোধী কংগ্রেস ও আপের, তখন পদ্মপক্ষের হয়ে চোখ রাঙাচ্ছে নির্বাচন কমিশনও। বিরোধীদের দাবি, গোটা আমেদাবাদ শহর জুড়ে মোদি ও অমিত শাহর ছবিতে আকাশ ঢেকেছে। আর বিরোধীরা একটা পোস্টার লাগাতে গেলেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেই কমিশনই। নির্বাচনী বিধির অজুহাতে প্রতিপদে জোড়াফলায় বিদ্ধ হতে হচ্ছে বিরোধী শক্তিকে। বিরোধীদের আক্ষেপ, মোদি গড়ে একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই। থাকলে রাজ্যজুড়ে ‘খেলা হত’। টানা সাতাশ বছর ক্ষমতায়। কেশুভাই প্যাটেল দিয়ে শুরু। তারপর আর থামতে হয়নি। কেশুভাইয়ের চেয়ারে বসেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। টানা ১২ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর প্রধানমন্ত্রী। ১৪ সালে তার ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে আট বছরে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। এখন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রবীণ ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল। প্রতি মুহূর্তে মোদির ছায়া তাড়া করে বেড়ায় তাদের। এতদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে স্বভাবতই মোদি গড়ে শাসক-বিরোধী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। কিন্তু আমেদাবাদের খানপুরে বিজেপির কার্যালয়ে গেলে তা বোঝার উপায় নেই। ভোটের আগে শাসক শিবিরের দলীয় কার্যালয়ের চিত্র যেরকম হওয়া উচিত, এখানেও তার অন্যথা হয়নি। ব্যস্ততা চরমে। কথা বলার অবস্থায় নেই নেতারা। এ বিষয়ে রাজ্য কমিটি থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কুশলসিং ভাই পাডেরিয়া বলেন, পশ্চিমবাংলায় যেমন তৃণমূলের মমতা আছে, গুজরাটে আছে মোদিভাই, অমিত শাহ। সব সমস্যার সমাধান নাকি মোদি একাই করে দেবেন। এতটাই ভরসা গুজরাটের মানুষের। আজ সংখ্যালঘুরাও তার উপরেই ভরসা রাখেন। ভোটের ফলাফল দেখলেই বুঝতে পারবেন। কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন কুশল সিং। আত্মবিশ্বাসে একটুও চিড় ধরেনি। উলটো সুর অবশ্য প্রধান বিরোধী কংগ্রেস নেতাদের গলায়। প্রতি পদক্ষেপে প্রচারে কমিশন বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ নির্বাচন পরিচালন কমিটির সদস্য ও বাপুনগর কেন্দ্রের প্রার্থী হেমন্ত সিং প্যাটেলের। বিরোধীরা কোথাও কোনও হোর্ডিং বা পোস্টার লাগাতে গেলেই তা খুলে ফেলা হচ্ছে। দিল্লি থেকে পদ্মপক্ষের কেন্দ্রীয় নেতাদের ইশারায় কমিশন চলছে। তবু মানুষ এবার শাসকের বিরুদ্ধে থাকবে বলে শহরের সংস্কার মার্গের রাজীব গান্ধী ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে দাবি করলেন তিনি। তবে মোদি যে ফ্যাক্টর তা-ও মানলেন। নইলে রাজ্যে বিষমদে মৃত্যু, মোরবির ঘটনা দ্রুত মানুষ ভুলে গিয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে ফের মনে করাতে হচ্ছে বলে আক্ষেপ তার। তিনি স্বীকার করলেন, এই রাজ্যে কংগ্রেসে লড়াকু নেতার অভাব। যেমন বাংলায় আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজন থাকলে প্রশাসন-বিরোধী হাওয়া আকাশচুম্বী করা যেত। মোদি-অমিত শাহরা ফ্যাক্টর হতেন না। টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।