মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া স্কটল্যান্ডের সরকার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট করতে পারবে না বলে বুধবার রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের পরপরই বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তীব্র শীত উপেক্ষা করে সন্ধ্যা থেকে শত শত বিক্ষোভকারী ব্রিটিশ রাজার সরকারি বাসভবন হলিরুড হাউসের সামনে জড়ো হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা তাঁদের মাথায় স্কটল্যান্ডের পতাকা বেঁধে রাজশাসন বিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্ল্যাকার্ডে অনেকেই লিখেছেন, ‘আমাদের ঔপনিবেশিক অবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে, এটি একটি গর্ধবদের আইন।’ এই বিক্ষোভ থেকে একটু দূরে রাস্তার অন্যপাশে আরেকটি বিক্ষোভকারীদের দল পাল্টা প্রতিবাদ করেছে। তারা এই বিক্ষোভকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান জানিয়েছে। জিম ব্র্যাক নামের একজন বিক্ষোভকারী আদালতের রায়কে ‘জয় জয়’ বলে সমর্থন জানিয়েছেন। এদিকে জুলিয়া স্ট্রিল নামের ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘আদালতের এ রায়টি স্বাধীনতা আন্দোলনকে উসকে দেবে। ওয়েস্টমিনস্টার আশা করেছিল যে সুপ্রিম কোর্ট নিরপেক্ষ হবে। সন্দেহ নেই, এ রায় স্কটিশ জনগণের স্বাধীনতার গণতান্ত্রিক অধিকারকে স্পষ্টভাবে বাধা দেবে।’ বিক্ষোভ সমাবেশে আমেরিকা, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ জড়ো হয়েছেন। এলিস ট্যালারন নামের একজন ফরাসি বলেছেন, ‘আমি ১৯৯৬ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছি। তারপরও আমি স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে। আদালতের রায়ে আমি দুঃখ পেয়েছি।’ ব্রেক্সিট, করোনা মহামারি, জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস—সবকিছু মিলিয়ে স্কটল্যান্ডে টোরিবিরোধী ক্ষোভ তীব্র হয়েছে। একজন বিক্ষোভকারী তার প্ল্যাকার্ডে লিখেছেন, ‘স্কটল্যান্ড কখনো যুক্তরাজ্যের অংশ হতে পারে না।’ স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এমপি টমি শেপার্ড ট্রেনে করে বিক্ষোভে এসে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউনিয়নের দাসত্ব করার আমাদের কোনো দরকার নেই।’ ৫৬ বছর বয়সী ডেভিড স্পেসি বলেছেন, ‘ওয়েস্টমিনস্টার গণভোটের ব্যাপারে ভুল কার্ড খেলেছে। এই মুহূর্তে স্বাধীনতার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি। যদি স্কটিশরা আরও দরিদ্র হয় এবং জীবনযাপনের সংগ্রাম বাড়ে, তাহলে স্বাধীনার পক্ষে সমর্থন বাড়তে থাকবে।’ বিক্ষোভকারীদের মাঝখানে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার (মুখ্যমন্ত্রী) নিকোলা স্টার্জন হঠাৎ উপস্থিত হলে বিক্ষোভকারীরা উচ্চৈঃস্বরে উল্লাস করে ওঠে। তিনি বলেছেন, ‘ওয়েস্টমিনস্টার কোনোভাবেই স্কটিশ জনগণের কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে পারবে না।’ স্কটিশ সোশ্যালিস্ট পার্টির সহ-মুখপাত্র কলিন ফক্স বলেছেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন হতে পারে যদি স্বাধীনতার সমর্থকেরা বুঝতে পারে যে ব্রিটিশ রাজদের পরাজিত করার জন্য একটি ভালো কৌশল দরকার।’ বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সংগীত গেয়ে এখনো বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। রাস্তার ওপারের পাল্টা প্রতিবাদও থামেনি। এদিকে স্বাধীনতার পক্ষের বিক্ষোভকারীদের সংগঠক লেসলি রিডক বলেছেন, ‘আমরা হয়তো এখনো সব জনগণকে বিশ্বাস করাতে পারিনি যে স্বাধীনতায় একমাত্র পথ। তবে ওয়েস্টমিনস্টারের ওপর থেকে জনগণের বিশ্বাস উঠে গেছে। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের ব্যাপক অগ্রগতি।’ স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন আগামী বছরের ১৯ অক্টোবর গণভোট করতে চাচ্ছিলেন। তার এ গণভোটের ব্যাপারে বুধবার যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত সর্বসম্মতিক্রমে রায় দিয়েছেন যে নিকোলা স্টার্জনের গণভোট করার ক্ষমতা নেই। কারণ বিষয়টি ওয়েস্টমিনস্টারের (লন্ডনের কেন্দ্রীয় সরকার) কাছে সংরক্ষিত। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।