মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী ৫ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রায় সমস্ত রাশিয়ান তেলের উপর একটি পরিবর্তিত নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। চূড়ান্ত ক্রেতা যেই হোক না কেন, সেই তেলের প্রায় পুরোটাই প্রথমে ইউরোপ বা যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ব্যবসায়ী, শিপিং কোম্পানি এবং বীমাকারীদের হাত দিয়ে যেতে হবে।
ইইউ’র এ নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের ১০ শতাংশ রাতারাতি বন্ধ করে দিতে পারে,
যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বিধ্বংসী পরিণতি ডেকে আনবে। তবে, ইউরোপীয় পরিবহনকারীরা এবং বীমাকারীরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করার অনুমতি পাবে, যদি তারা শুধুমাত্র ব্যারেল প্রতি পশ্চিমাজোটের নতুন নির্ধারিত মূল্যের নীচে রাশিয়ান তেল নিতে সম্মত হয়।
তাত্ত্বিকভাবে, এই মূল্যের হার যথেষ্ট বেশি হওয়া উচিত, যাতে বাজার মূল্যের থেকে অনেক নীচে এটি রাশিয়ার মুনাফার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হয়। কিন্তু ২৩ নভেম্বরের আলোচনায়, ইইউ কূটনীতিকরা প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ মার্কিণ ডলার ম‚ল্য নির্ধারণ করার চিন্তা করছেন। এবং ব্লুমবার্গের মতে, কমবেশি এই একই দামে রাশিয়া ইতিমধ্যে তেল বিক্রি করছে।
পোল্যান্ড এবং ইইউ জোটের অন্যান্য সদস্যরা ব্যারেল প্রতি ২০ ডলার করার জন্য চাপ দিয়েছে, যা অবশ্যই যুদ্ধে রাশিয়াকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তবে রাশিয়ান উৎপাদন হ্রাস, বৈশ্বিক
জ্বালানীর বর্ধমান দাম এবং সরবরাহে বিশৃঙ্খলা বিশ্বব্যাপি অস্থিরতা ডেকে আনবে। বিষয়টি ইইউ নীতিনির্ধারকরা বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।
এ সপ্তাহে প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্যও একটি নতুন মূল্য নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করতে অপ্রস্তত বলে মনে হচ্ছে। রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইউরোপ জুড়ে বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে। গ্যাস যেখান থেকেই আসুক না কেন, এর দাম একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছে গেলে, নিয়ন্ত্রকরা এটিকে আরও বাড়তে বাধা দেবে। গ্যাসের ওপর সরকারগুলির নিয়ন্ত্রণ বসতবাড়ি এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে ব্যবহারে বিধিনিষেদ টেনে দেবে। কিন্তু প্রস্তাবিত দর অনুযায়ী যদি গ্যাসের দাম প্রতি মেগাওয়াট ঘন্টায় ২শ’ ৭৫ ইউরো হয়, তাহলেও তা যুদ্ধ-প‚র্ব ম‚ল্যের থেকে এখনও অনেক বেশি।
মূল কথা, রাশিয়ান তেল ও গ্যাস ছাড়া বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার মসৃণভাবে চলতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি সহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর প্রায় কোন প্রভাব ফেলেনি। কারণ দেশটির তেলের চালানগুলি চীন, ভারতের মতো দেশগুলিতে সরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং অন্যান্য ক্রেতারা স্বল্প মূল্যের কারণে আগ্রহী। নভেম্বরে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন যুদ্ধের আগের তুলনায় মাত্র ২ শতাংশ কম ছিল। সূত্র: কুয়ার্টজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।