অস্বচ্ছ ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যাচাই বাছাইহীন ভোটার তালিকা তৈরি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরে প্রার্থীদের নিকট ভোটার লিস্ট সরবরাহ করা, যথাসম্ভব নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য সদস্যদের নিয়ে একটি সাবজেক্ট কমিটি করে যথোপযুক্ত সময় নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে সমন্বয় ও সমঝোতার উদ্যোগ না নেয়া ছিল বর্তমান
নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতা। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী কমিটি এবং
নির্বাচন কমিশনের সাথে কয়েক দফা আলোচনা করেও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি বলে এক্স জে সি ডি বুয়েটের
সাধারণ সম্পাদক হাসান সিদ্দিকী মিঠুল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এক্সজেসিডি-বুয়েট হতে মনোনীত প্রার্থীগণ কাছে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্বলতার কথা বলে প্রতিনিয়ত অভিযোগ করছেন। তাদের অনেক অভিযোগের মধ্যে, ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে গেলে বিরল চিত্র দেখতে পান। ভোটারের মধ্যে কেউ কেউ এইবির নামই শোনেননি। অনেকেই বলেছেন তারা এইবির ফরমও ফিলাপ করেননি। কেউ কেউ ইলেকশনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কটাক্ষ করতেও দ্বিধা করেননি।
এরুপ আরো কিছু কারণে আমরা এক্সজেসিডি-বুয়েট ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার ঘোষণা করছি। নির্বাহী কমিটির কাছে এই নির্বাচন স্থগিতের আহবান জানাচ্ছি। এরুপ নির্বাচন ঐক্যের বদলে বিভেদ সৃষ্টি করবে, সাম্যের বদলে বৈষম্য নিয়ে আসবে, বন্ধুত্বের বদলে পারস্পরিক শত্রুতা সৃষ্টি এমনকি প্রিয় সংগঠন এইবি তে ভাঙ্গনও সৃষ্টি করতে পারে।
বুয়েট একটি ঐতিহ্যবাহী, গৌরবান্বিত এবং গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠান। এখানে সুষ্ঠু লেখাপড়ার পরিবেশ যেমন বিদ্যমান তেমনি সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চাও বিদ্যমান ছিল। আমরা চাই, এইবি তার কার্যক্রমেও স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখুক এবং অতিদ্রুত একটি সাবজেক্ট কমিটি গঠন করে উপযুক্ততার বিচারে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে কাউন্সিলর সংখ্যা নির্ধারণ করে যতদ্রুত সম্ভব নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হোক।