শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কানাডা খেলেছে আগ্রাসী মনোভাবে।নিয়মিত বিরতিতে করেছে আক্রমণ।তবে পুরো প্রায় দুই ডজন শট নেওয়ার পরও গোলপোস্টের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানো থিবু কর্তোয়াকে ফাকি দিতে পারেনি, এই বেলজিয়াম গোলরক্ষক আজ এতটাই দুর্দান্ত ছিল যে অনায়াসে তিনি আটকে দিয়েছেন কানাডার নেওয়া একটি পেনাল্টি।
অন্যদিকে বেলজিয়াম হাতেগোনা নেওয়া কয়েকটি শটের একটিতে গোল পেয়ে বসে।ফলে পুরো এফ গ্রুপের এ ম্যাচে সমানতালে লড়াই করার পরও কানাডা হেরেছে ১-০ গোলের ব্যবধানে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে বল পজিশনে কোনরকম এগিয়ে থাকলেও কানাডার ধারাবাহিক আক্রমণে বেলজিয়াম ছিল চাপে।সেই চাপে ভুল করে বসে দলটির রক্ষণভাগ।ম্যাচের ১১ তম মিনিটে কানাডার এক খেলোয়াড়ের করা শট গিয়ে লাগে ডি-বক্সের ভিতরে বেলজিয়ামের উইঙ্গার কারেসকোর হাতে। ভিএআরে যাছাইয়েত পর পেনাল্টির বাশি বাজান রেফারি। তবে ডেভিসের নেয়া পেনাল্টি ডানদিকে ঝাপ দিয়ে রুখে দেন কোর্তোয়া। এরপর অনেকবার আক্রমণ করেছে কানাডা। তবে প্রতিবারই সেগুলো বিফলে যায় বেলজিয়ামের তারকা গোলরক্ষকের কৃতিত্বে।
চাপ সামলে পাল্টা আক্রমণে যায় ড্রি ব্রুইনা-হ্যাজার্ডরা।৪৪ তম মিনিটে লিড নেয় দলটি।টবি অলডারওয়াইল্ডের পাস থেকে বল পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন লুকাকোর জায়গায় মাঠে নামা মিচি বাতশুয়াই।
তবে পিছিয়ে পড়েও আক্রমণাত্মক ভাব কমায়নি কানাডা।বিরতির পরও অন্তত পাচ-ছয়টি দারুণ আক্রমণ সাজায় দলটি। তবে কখনো দক্ষ ফিনিশিং এর অভাবে,আবার কখনো কর্তোয়া দুর্গের সামনে হতাশ হতে হয় দলটিকে।শেষদিকে রক্ষণটা ভালোভাবে সামলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বেলজিয়াম।