একপেশে? আসম লড়াই? কোন বিশেষণ আজ মাঠে স্পেনের আধিপত্য বিশ্লেষণ করা অসম্ভব। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ কোস্টারিকাকে নিয়ে কি ছেলেখেলাতেই না মাতল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।গুনে গুনে তারা কোস্টারিকার জালে দিয়েছে সাত গোল! এক পর্যায়ে মাঠে স্পেনের হয়ে গোল না করা খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছিল।
প্রথম ম্যাচে গোল উৎসব করে বাকি দলগুলোকে একটি বার্তা দিয়ে রাখল লুইস এনরিকের শিষ্যরা। শিরোপার দৌড়ে সামনে যেতে হলে ফিরান তোরেস-মোরাতার স্পেনকে সমীহ না করে উপায় নেই!
স্পেন এতটাই আগ্রাসী ছিল যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোস্টারিকা শুধু রাগ করি সাম লেগেছে।৯৯৪ টি পাস আর ৮২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেছিল স্পেন, এক কথায় মাঠে পুরোপুরি অসহায় ছিল কোস্টারিকা।
প্রথমার্ধেই কোস্টারিকার জালে তিনবার বল পাঠায় জার্মানি।১১ মিনিটে উৎসবের শুরুটা হয় ওলমোর গোলে। এর পর খেলা যত এগিয়েছে তত বেড়েছে স্পেনের দাপট। ফুটবল দক্ষতায় পেরে না উঠে কোস্টারিকার ফুটবলাররা ঘন ঘন ফাউল করলেন। তাতে অবশ্য লাভ কিছু হয়নি। ম্যাচের ২১ তম মিনিয়ে মাথায় জর্ডি অ্যালবার পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্কো অ্যাসেনসিয়ো।
৩১তম মিনিটে সফল স্পট কিকে দলের তৃতীয় গোলটি ফিরান তরেসর ম্যাচের ভাগ্য একরকম নির্ধারণ করে দেয়। নাভাসকে দারুণ মুন্সিয়ানায় ফাকি দিয়ে বল জালে জড়ান বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর স্পেন হয়ে ওঠে আরো বেশি অপ্রতিরোধ্য।৫৫ মিনিটে চতুর্থ গোল পায় স্পেন। ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ফেরান তোরেস।৭৫ মিনিটে স্কোরলাইন ৫-০ তরুণ মিডফিল্ডার গাভি।এই গোলের মাধ্যমে এই উঠতি তারকা স্পেনের জার্সিতে বিশ্বকাপে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের রেকর্ডটি নিজের করে নেন।ম্যাচের একেবারে শেষদিকে কার্লোস সোলে ও মোরাতা গোল করলে ৭-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন।
স্পেনের পরের খেলা জার্মানির বিপক্ষে। বিশ্বকাপের টিকে থাকতে হলে জার্মানদের এই ম্যাচে জয় ভিন্ন অন্য কিছু চিন্তা করার সুযোগ নেই।