নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
‘বাবা কতদিন কতদিন দেখি না তোমায়’- জেমসের দরদভরা কণ্ঠের এই গানটি হয়তো ম্যারাডোনা কন্যা শোনেননি। তবে বাবার স্মৃতিকাতরতার জায়গায় তিনি জেমসের সঙ্গে মিলেছেন। কথাগুলো তিনি ভাবেন, আর বাবার ফেরার পথে অমলিন চোখে চেয়ে থাকেন। দিনশেষে ফলশূন্য চোখে শুধু অশ্রæ ভরে আসে দালমা ম্যারাডোনার।
বাবার প্রিয় ট্রফিটা যদি ঘরে ফেরে, তাহলে তার মধ্যেও হয়তো মেয়ে দালমা খুঁজে পাবেন বাবাকে। এজন্যই জোরালো কণ্ঠে মেসির প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন। যে বাবা নিজের সারাটা জীবন ওই একটি ট্রফির ধ্যানেই বুঁদ হয়ে ছিলেন, শেষে তাঁকে সেই ট্রফিতেই খুঁজে পেতে চান দালমা। স¤প্রতি এক ভিডিওতে মেসির উদ্দেশ্যে দালমা বলেছেন, ‘মনে রেখো, আমার বাবা কিন্তু তোমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। ভাবতে পারো, তিনিই এই দলের দ্বাদশ ব্যক্তি। এ বারের বিশ্বকাপে বাবার না থাকা প্রত্যেক মুহ‚র্ত উপলব্ধি করছি। তাই তোমাদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, এবার বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরতেই হবে। তা হলেই বাবা সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাবেন। মনে রেখো, উনি কিন্তু তোমাদের দেখছেন।’
আগামীকালই ২৫ নভেম্বর। দুই বছর আগের এই দিনটি নশ্বর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। এই দুটো বছর কোটেকুটে গেলেও এবার যেন খুব করে দালমার মনে পড়ছে বাবা ম্যারাডোনাকে। এটা যে ফুটবলের বছর, বিশ্বকাপের বছর। ম্যারাডোনার বছরও নয়-কি? বিশ্বের যে কোনো প্রান্তেই হোক বিশ্বকাপ এলেই যে শরীর যেমনই থাক মাঠে তার সরব উপস্থিতি রোমাঞ্চিত করেছে ফুটবল আঙিনাকে, উজ্জীবিত করেছে আর্জেন্টিনাকে, উদ্দেলিত করেছে মেসি-ডি মারিয়াদের।
ফুটবল এমনই এক আবেগের জায়গা। কখনও সেটি নাটকের ট্রাজেডি হয়ে ধরা দেয়, কখনও উপন্যাসের রোমান্টিক নায়ক হয়ে। দর্শক হিসেবে ফুটবলকে আমরা যতটা উপভোগ করি, মাঠের খেলোয়াড়েরা সে হিসেবে একটু এগিয়েই থাকবেন। যদিও দর্শক বিহীন ফুটবল, প্রাণ বিহীন দেহের মতোই। এই ফুটবলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পিছনে আর্জেন্টাইন তারকা ম্যারাডোনার অবদান অনস্বীকার্য। দলকে জিতিয়েছেন সর্বোচ্চ পুরস্কার বিশ্বকাপ ট্রফি। মাঠের খেলা শেষ করলেও দর্শক হিসেবে নিয়মিত মাঠে যেতেন ম্যারাডোনা। বেশিরভাগ সময়ে সঙ্গে থাকতেন কন্যা দালমা। বাবার ধারাবর্ণনায় দালমা উপভোগ করতেন ফুটবলের শুদ্ধ স্বাদ।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যে, এবার কাতার বিশ্বকাপে দালমার সঙ্গে নেই বাবা ম্যারাডোনা। তাই বাবাকে এভাবেই ঘরে ফেরানোর আকুতি জানিয়েছেন দালমা। অন্যদিকে শেষ বিশ্বকাপে মেসিও চাইবেন শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরতে। তবে দালমা যখন এমন আকুতি শোনালেন মেসিদেরও তখন ত্রাহি ত্রাহি। গ্রæপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সউদী আরবের কাছে হেরে আর্জেন্টিনার পথ যে হয়ে গেছে কিছুটা কঠিন। নিজের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপটা রাঙানোর লক্ষ্যটা প‚রণ করতে হলে মেসিকেও ঘুরে দাঁড়াতে হবে। জিততেই হবে মেক্সিকো আর পোল্যান্ডের বিপক্ষে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।