নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আশঙ্কাটাই সত্যি হলো। মাঝ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চুক্তিটা শেষ পর্যন্ত বাতিলই হয়ে গেল। চুক্তি বাতিলের বিষয়টি দুই পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। উভয় পক্ষ বলছে, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বাতিল করা হয়েছে এই চুক্তি।
বিশ্বকাপ শুরুর আগ মুহ‚র্তে পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনাইটেডের কোচ ও কর্তৃপক্ষের ব্যাপক সমালোচনা করেন রোনালদো। সেই সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেছিলেন, কোচ এরিক টেন হাগের প্রতি তার কোনো সম্মান নেই, কারণ টেন হাগও রোনালদোর প্রতি কোনো সম্মান দেখান না। সে সাক্ষাৎকারে ইউনাইটেড তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলেও দাবি করেছিলেন রোনালদো। সেই ঘটনার ধারাবাহিকতাতেই এই চুক্তি বাতিল। রোনালদোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল নিয়ে এক বিবৃতিতে ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘দুই মেয়াদে অসামান্য অবদানের জন্য ক্লাব তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।’ তারা রোনালদোকে এবং তার পরিবারকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়ে বিবৃতিতে আরও লিখেছে, ‘দলের বাকিরা টেন হাগের অধীনে দলের উন্নতিতে মনোযোগ দেবে এবং এক সঙ্গে কাজ করে মাঠে সাফল্যের জন্য লড়বে।’
এর আগে ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছিলেন রোনালদো। সে সময় ক্লাবের হয়ে দলীয় ও ব্যক্তিগভাবে দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন রোনালদো। তিনটি লিগ শিরোপা ছাড়াও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন পর্তুগিজ তারকা। তবে গত মৌসুমে দ্বিতীয় মেয়াদে ইউনাইটেডে ফেরাটা সুখকর হলো না রোনালদোর। বরং শেষটা হলো তিক্ততাতেই। তবুও ইউনাইটেড ছাড়ার প্রতিক্রিয়ায় রোনালদো বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে আগেই চুক্তি শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ক্লাবের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে রোনালদো আরও বলেছেন, ‘আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এবং ভক্তদের ভালোবাসি। সেটা কখনো বদলাবে না। যাই হোক, মনে হচ্ছে এটা নতুন চ্যালেঞ্জ সন্ধানের সঠিক সময়। আমি মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য এবং ভবিষ্যতের জন্য দলের সফলতা কামনা করি।’
এমন দিনে আরেকটি দুঃসংবাদ পেল ইউনাইটেড সমর্থকেরা। চেলসির পর এবার বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে যে ইংলিশ ক্লাবটিও! ২০০৫ সাল থেকে ইউনাইটেডের মালিকানায় আছে যুক্তরাষ্ট্রের গেøজার পরিবার। গত কয়েক বছর ধরে ক্লাব সমর্থকদের সমালোচনার মুখে আছে মালিকপক্ষ। শেষ পাঁচ বছরে কোনো ট্রফি নেই। ওল্ড ট্রাফোর্ড স্টেডিয়ামেও কোনো উন্নয়ন হয়নি। এ ছাড়া আর্থিকভাবে বিপুল দেনায় ডুবে আছে ইউনাইটেড। গত মার্চ পর্যন্ত ক্লাবের ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৬০ কোটি মার্কিন ডলারে। সব মিলিয়ে এবার ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ আর ধরে রাখতে চায় না গেøজার পরিবার। বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘বোর্ড ক্লাবের জন্য কৌশলগত বিকল্প খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে নতুন বিনিয়োগ, বিক্রয় বা কোম্পানির সঙ্গে জড়িত অন্যান্য লেনদেন সহ সমস্ত কৌশলগত বিকল্প বিবেচনা করা হবে।’
ইউনাইটেডকে মাঠে এবং বাণিজ্যিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই এমন পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।