মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিদ্রোহ সামাল দিতে গুজরাটে গণ হারে দলীয় নেতাদের সাসপেন্ডের পথে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। হিমাচলের মতোই গুজরাটেও টিকিট না পাওয়া গেরুয়া নেতারা দলের বিরুদ্ধে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। এমন ১২ নেতাকে মঙ্গলবার সাসপেন্ড করল বিজেপি। এদের মধ্যে একজন ছ’বারের বিধায়ক, দু’জন গতবারের বিধায়ক। টিকিট না পেয়ে এক ডজন নেতা গতকাল সতন্ত্র মনোনয়ন জমা দেন নির্বাচন কমিশনে। এর পরই তাদের সাসপেন্ড করে গুজরাট বিজেপি।
এর ফলে গুজরাটে মোট ১৯ জন বিদ্রোহী গেরুয়া নেতাকে সাসপেন্ড করা হল। তাদের আগামী ছয় বছরের জন্য ছেঁটে ফেলা হল দল থেকে। আগামী ১ ডিসেম্বরে গুজরাটে প্রথম দফা নির্বাচন হবে। টিকিট না পেয়ে প্রথম দফার ভোটে দাঁড়াতে ৭ গেরুয়া নেতা সতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। এর পরই দল থেকে বহিস্কার করা হয় তাদের। আগামী ৫ ডিসেম্বরে দ্বিতীয় দফা ভোটে দাঁড়াতে ১২ বিদ্রোহী গেরুয়া নেতা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, এবার তাদেরও ছেঁটে ফেলা হল। পরিসংখ্যান বলছে, এর ফলে ১৮২ বিধানসভার গুজরাট ভোটে ১০ শতাংশ আসনে বিজেপি প্রার্থীকে লড়তে হবে দলীয় নেতাদের সঙ্গেও। উল্লেখ্য, দল কড়া সিদ্ধান্ত নিলেও, খোদ অমিত শাহ ছাঁটাই অভিযান চালালেও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে সরেননি ওই ১৯ বিদ্রোহী নেতা।
প্রসঙ্গত, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই গুজরাট বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ কার্যত বিদ্রোহে পরিণত হয়েছিল। টিকিট না পেয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দাঁড়াতে শুরু করেন একাধিক প্রাক্তন বিধায়ক। বিদ্রোহ সামাল দিতে সক্রিয় হতে হয় অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডাদের। আমেদাবাদ ছুটে যান গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতারা। মূলত নতুন মুখ, দলবদল করে আসা কংগ্রেস ও সতন্ত্রদের প্রার্থী করতে গিয়ে ৩৮ জন বিধায়ককে বাদ দেন মোদি-শাহরা। তাতেই বিপত্তি। বিদ্রোহ সামাল দিতে না পারলে এর প্রতিফলন ভোটবাক্সে পড়া নিশ্চিতই।
উল্লেখ্য, ভদোদরার ছ’বারের বিধায়ক মধু শ্রীবাস্তবকে এবার টিকিট দেয়নি পদ্মশিবির। তালিকা প্রকাশ হতেই সতন্ত্র হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রবীণ বিধায়ক। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে শাহর দূত হয়ে ভদোদরা যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি। তার সঙ্গে দেখা করা দূর অস্ত, উল্টে দলের রাজ্য কার্যালয়ের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান শ্রীবাস্তব ও অনুগামীরা। রাজ্য দপ্তরের সামনে পুলিশ পিকেট বসাতে হয়। বিক্ষুব্ধ প্রাক্তন বিধায়ক জানান, কর্মী-সমর্থকরা তাকে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়তে বলেছেন। তাদের দাবিকে গুরুত্ব দিতেই তিনি লড়বেন। প্রশ্ন উঠছে, গণ হারে দলীয় নেতাদের সাসপেন্ড করায় হিতে বিপরীত হবে না তো! সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।