Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের সাথে সুসম্পর্ক সম্ভব তবে বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালে নয় : ইমরান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ভারতের সাথে সম্পর্ক পুনমূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভাল সম্পর্ক অসম্ভব।

গত সোমবার ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পিটিআই চেয়ারম্যান দুই প্রতিবেশী একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য স্থাপন করলে অর্থনৈতিক সুবিধার বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ‘সুবিধা প্রচুর হবে’ তবে, তারপরে দাবি করেন যে, ভারতীয় অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (আইআইওজেকে) সম্পর্কে নয়াদিল্লির অবস্থান প্রধান বাধা।

‘আমি মনে করি এটা সম্ভব, কিন্তু বিজেপি সরকার এতটাই কট্টর, ইস্যুটিতে তাদের জাতীয়তাবাদী অবস্থান রয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, এটি হতাশাজনক, আপনার কাছে (সমাধানের) সুযোগ নেই, কারণ তারা এ জাতীয়তাবাদী অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। ‘একবার জাতীয়তাবাদের জিন বোতলের বাইরে চলে গেলে এটিকে আবার ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন’।

আমরা শুধু জানি, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য তাদের একটি রোডম্যাপ থাকা উচিত। পাকিস্তানের জনগণ এ ধারণাটি মেনে নিতে পারে না যে, কাশ্মীরিরা- যাদেরকে একটি গণভোটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের নিজেদের ভাগ্য বেছে নেওয়ার অধিকার দিয়েছে, তারা ভারতকে জোর করে এ সিদ্ধান্ত নিতে দেখেছে’।

ইমরান যোগ করেছেন যে, প্রতিবেশী দেশ আইআইওজেকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা কেড়ে নেওয়ায় পাকিস্তানকে ভারতের সাথে তার সম্পর্ক ঠাণ্ডা করতে হয়েছিল। পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের সাথে তার বাণিজ্য সম্পর্ককে ইসরাইলের স্তরে নামিয়ে এনেছে, যার সাথে ইসলামাবাদের কোনো বাণিজ্য সম্পর্ক নেই। অধিকৃত কাশ্মীরকে একটি বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া হিসাবে এ সিদ্ধান্ত এসেছিল।

সবার সাথে বাণিজ্য করুন : পিটিআই প্রধান বলেছেন, তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে আফগানিস্তান, ইরান, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাকিস্তানের সমস্ত প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করবেন।
‘আমাদের সত্যিই দুই দেশের সাথে সম্পর্ক দরকার। আমি যা চাই না, তা হল আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধের পরিস্থিতি যখন আমরা গত স্নায়ুযুদ্ধের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিত্র ছিলাম’।

‘পুরো মধ্য এশিয়া, আফগানিস্তান, আমাদের কক্ষপথের বাইরে চলে গেছে,” ইমরান বলেছেন, পাকিস্তানের জন্য তার প্রধান উদ্বেগ ছিল কীভাবে দারিদ্র্য থেকে ১২ কোটি মানুষকে ওঠানো যায়।

‘সেটি করার সর্বোত্তম উপায় হল যদি আমরা সবার সাথে সম্পর্ক রাখতে পারি, সবার সাথে বাণিজ্য করতে পারি, যাতে আমরা আমাদের জনসংখ্যাকে সাহায্য করতে পারি’ তিনি উপসংহারে বলেন। সূত্র : ডন অনলাইন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ