নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপের অন্যতম অঘটনের বলা হলেও দুর্দান্ত খেলে নিজেদের প্রাপ্য জয়টিই তুলে নিয়েছে সউদী আরব। গ্রæপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই ২-১ ব্যবধানে হেরে বড় ধাক্কা খেলেন লিওনেল মেসিরা। তবে এবারই প্রথম নয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, এর আগেও পাঁচবার প্রথম ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে একবার ফাইনালেও উঠেছে তারা।
পরিসংখ্যানের পাতা উল্টে দেখা যায়, ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপের রানার্স আপ আর্জেন্টিনা। কিন্তু পরের ১৯৩৪ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সুইডেনের কাছে ২-৩ হেরে বিদায় নেয় তারা। এরপর ১৯৫৮ সালেও প্রথম ম্যাচেই পশ্চিম জার্মানির কাছে ১-৩ গোলে হারে তারা। তারপর ১৯৭৪ বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে পোল্যান্ডের কাছে ২-৩ গোলে, ১৯৮২ বিশ্বকাপে তারা প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে ০-১ ব্যবধানে হারে। তারপর ১৯৯০ সাল। ইতালি বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী ম্যাচ। প্রথম ম্যাচেই আগেরবারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার মুখোমুখি আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন।
আর্জেন্টিনার নেতৃত্বে কিংবদন্তি ম্যারাডোনা। সেবারের আর্জেন্টিনা ১৯৮৬ সালের মতো শক্তিশালী না হলেও সব দিক থেকেই ক্যমেরুনের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল। সেদিন ৮ জুন। ইতালির সান সিরো স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছে ক্যামেরুন ও আর্জেন্টিনা।
প্রথমার্ধ দাপটের সঙ্গেই খেলল আর্জেন্টিনা। কিন্তু গোলের দেখা পেল না। দ্বিতীয়ার্ধের অর্ধেক সময় না পেরোতেই ঘটল অঘটন। গোল করে বসল ক্যামেরুন। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ওমাম-বাইয়ুকের গোলে ম্যাচে লিড নিয়ে নীল ক্যামেরুন। এরপর বাকি সময়ে ম্যারাডোনা, ক্যানিজিয়া, বুরুচাগারা মিলে প্রাণপণ চেষ্টা করলেন, কিন্তু ক্যামেরুনের রক্ষণে চিড় ধরাতে পারলেন না। অবশেষে ১৯৯০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
তবে প্রথম ম্যাচ হারাটাই বোধহয় শাপে বর হয়ে দেখা দেয় ম্যারাডোনাদের জন্য। সেবার কোনোমতে গ্রæপে তৃতীয় হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে আর্জেন্টিনা। তারপরই একের পর এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় ম্যারাডোনার দল। যদিও টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। পশ্চিম জার্মানির কাছে হার মানতে হয়। অনেকেরই অবশ্য ধারণা, ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে জোর করে হারানো হয়েছিল।
তাই এবার কাতার বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনা ভক্তরা আশায় বুক বাঁধতেই পারেন। কারণ এবারও যে গ্রæপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছেন তারা! কে জানে, হয়তো এবারও ফাইনালে দেখা যেতে পারে মেসিবাহিনীকে। তবে আরেকটি পরিসংখ্যান বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিতে পারে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের। ইতিহাসে একবারই এশিয়ার মাঠে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেটা ২০০২ সালে। সেবার গ্রæপ পর্বেই বিদায় নিয়েছিল দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে তাদের চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ব্রাজিলের হাতে উঠেছিলো শিরোপা। এখন পর্যন্ত পাঁচটি শিরোপা জিতে এই তালিকায় শীর্ষেই আছে আজেন্টিনার প্রতিবেশী দেশটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।