মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ চীন সাগরে চালকবিহীন একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ আটক করেছে চীন। পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউএসএসএস বোডিচের কাজের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজটি সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল। ফিলিপাইনের কাছে আন্তর্জাতিক নৌসীমায় জাহাজটি তথ্য সংগ্রহের কাজ করছিল। চীনের সৈন্যরা একটি ছোট নৌকায় এসে গত বৃহস্পতিবার এটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে পেন্টাগন দাবি করেছে। খবরে বলা হয়, ফিলিপাইন উপকূল থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পশ্চিমে সুবিক বে-তে এ ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক স্মরণকালের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওশেনোগ্রাফিক জাহাজ ইউএসএনএস বোডিচ ওই মানুষবিহীন পানির তলার যানটিকে (ইউইউভি) তুলে নেয়ার আগেই চীনারা সেটি তুলে নেয়। ইউইউভিটি আইন মেনেই দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক জরিপ চালাচ্ছিল বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সম্পত্তি তা ইংরেজিতে পরিষ্কারভাবে লেখা ছিল বলে জানান তিনি। পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলছেন, ওশেন গ্লাইডার নামের ওই ডুবোযানটি পানির লবণাক্তটা আর তাপমাত্রা পরীক্ষার কাজ করে থাকে। গত শুক্রবার এক প্রেসব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেন, দ্য ইউইউভি নামের যুদ্ধজাহাজটি সব ধরনের আইন মেনে দক্ষিণ সাগরে সামরিক জরিপের কাজ করছিল। হঠাৎ করে চীনের সৈন্যরা এসে সেটি নিয়ে গেছে। জাহাজটি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চীনের কাছে দাবি জানিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের এ আচরণে কূটনৈতিক প্রতিবাদও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখন পর্যন্ত বেইজিং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। প্রতিবেশী ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের আপত্তি সত্ত্বেও দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন। সেখানে একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে চীন, যা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই দ্বীপে সামরিক অস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে। ওই এলাকা আন্তর্জাতিক নৌসীমার অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সেখানে সবার যাতায়াতের অধিকার রয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের মধ্যে টেলিফোনে আলাপ হয়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনার তৈরি হয়। এতদিন ধরে যে এক চীন নীতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র, নতুন প্রশাসনে তার পরিবর্তন হতে পারে বলে চীনের আশঙ্কা রয়েছে। প্রসঙ্গত, কূটনৈতিক পর্যায়ে দু’দেশের এই টালমাটাল সম্পর্কের সময়ই ঘটনাটি ঘটল। বিবিসি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।