Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণার মধ্যদিয়ে রুশ-জাপান সম্পর্কে নতুন মাত্রা

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার ঘোষণার মধ্যদিয়ে জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের নতুন সূচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিরোধ থাকা দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে অচলাবস্থা কাটলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমি পুতিনের সফরে তা অন্যমাত্রায় যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। গত বৃহস্পতিবার দুই দিনের সফরে পুতিন জাপানে পৌঁছানোর পর শিনজো আবের জন্মস্থান ইয়ামাগুচি প্রদেশের নাগাতোতে অনুষ্ঠিত দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শেষে শিনিজো আবে বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা এমন একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে যাচ্ছি, যেখানে দুই দেশের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর বাণিজ্য সম্ভব হবে। আমাদের মধ্যে টেরিটরি নিয়েও সফল আলোচনা হয়েছে।
শিনজো আবে আরো বলেন, বিবদমান দ্বীপে বিশেষ উন্নয়ন এলাকা হিসেবে আমরা কাজ করব। জাপান এমন সময় রাশিয়ার পাশে দাঁড়াল যখন দেশটি পুতিনের সিরিয়া ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ছিল। রাশিয়ার সাথে জাপানের এই নয়া সম্পর্ক বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুই অক্ষ শক্তির অবস্থানে দূরত্ব থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠতায় রাশিয়ার সাথে জাপানের সম্পর্ক উন্নয়নে ভাটা পড়ে। কিন্তু শিনজো আবে সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। গত শুক্রবার সকালে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে ফের দ্বিতীয় দফায় বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে ওষুধ, প্রযুক্তি, বিজ্ঞানসহ অন্ততপক্ষে নয়টি বিষয়ে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি হয় বলে জাপান সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। চলতি বছরের ২৬ ও ২৭ মে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে বিশ্বের নেতাদের সাথে বৈঠকের পর জাপান সরকারের সাথে রাশিয়ার এটিই কোনো বড় ধরনের  বৈঠক, যা দুই দেশের দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক মেরামতে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার বৈঠকে জাপানের অন্যতম শত্রু বলে বিবেচিত উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়াকে বরাবরই রাশিয়া নৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছিল বলে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অভিযোগ করে আসছে। জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে বলছে, উত্তর কোরিয়া ছাড়াও সিরিয়া বিষয়ে দুই দেশের আলোচনা হয়। এছাড়া দুই দেশের অন্ততপক্ষে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার গড়তে কাজ করছে, যা ৬০টি ব্যবসায়িক চুক্তির ফল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই বিরোধপূর্ণ দুই দ্বীপ নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দেয়। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপ দুটি জাপানে উত্তর টেরিটরিস এবং রাশিয়ায় দক্ষিণ কুরিলস নামে পরিচিত। এই দ্বীপ দুটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত সেনারা দখল করে নেয়। দ্বীপগুলোতে থাকা ১৭ হাজার জাপানি অধিবাসীকে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। জাপানের অনেক নাগরিক পুতিনের এই সফরে বিরোধপূর্ণ দুই দ্বীপ সমস্যা সমাধানে আশাবাদী হলেও পুতিন সফরে আসার আগে জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দ্বীপ নিয়ে আলোচনা হবে না। এর আগে ২০০৫ সালে ভøাদিমির পুতিন প্রথমবারের মতো জাপান সফরে এসেছিলেন। এনএইচকে, বিবিসি, কিওডো, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Anowar Hossain ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:৪৪ এএম says : 0
    very good step.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ