বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯.৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করায় বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তা’ প্রত্যাহারে দাবি জানিয়েছেন। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যেমন আকাশছোঁয়া অন্যদিকে সংসারের দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। এমতাবস্থায় বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধি গ্রাহক পর্যায়ে এর মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করবে। সরকারকে অবিলম্বে বিদ্যুতের পাইকারি বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে।
খেলাফত মজলিস ঃ খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চেয়ারম্যান আবদুল জলিল আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯.৯২ শতাংশ বাড়িয়ে ইউনিট প্রতি ৬ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যেমন আকাশছোঁয়া অন্যদিকে সংসারের দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। এমতাবস্থায় বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধি গ্রাহক পর্যায়ে এর মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করবে। কয়েকদিন আগেও এই কমিশন আবাসিক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে মানুষের জীবনকে আরো দুর্বিসহ করে তুলেছে। এর প্রভাবে ইতিমধ্যে বাসাভাড়া বৃদ্ধি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারকে অবিলম্বে বিদ্যুতের পাইকারি বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে। আইএমএফের ফর্মুলা মানতে গিয়ে বিদ্যুতের এই দাম বৃদ্ধি কি না জাতির সামনে তা পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে ভর্তুকি বাড়িয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি গ্যাসের দাম কমিয়ে আনতে হবে।
ইসলামী ঐক্য জোট ঃ ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেন, দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বি বৃদ্ধিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের মাঝে মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করবে। বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য বৃদ্ধির কারণে অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রির দামও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করায় সাধারণ গ্রাহকরা চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছে। তিনি দেশের সাধারণ জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।