Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজীব হত্যাকারীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিতে আদালতে যাচ্ছে কংগ্রেস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৬:১৩ পিএম

গত ১১ নভেম্বর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ৬ জনকে মুক্তির নির্দেশ দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সেদিনই সুপ্রিম নির্দেশের বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস। সোমবার কংগ্রেসের তরফে জানানো হল, দোষীদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানাবে তারা। আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে আদালতে এই বিষয়ে আবেদন জানানো হবে।

১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। এই ঘটনায় মোট ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বদলে যায়। এর মধ্যে গত ১১ নভেম্বর একটি নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছ’জনকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। জেলমুক্ত হয় নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। এর আগে মে মাসে আর এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালনকে মুক্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

ব্যক্তিগত ভাবে সোনিয়া গান্ধী রাজীব হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ‘ক্ষমা’ করলেও, সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল দল কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ এবং ‘সম্পূর্ণ ভুল’ বলে অভিহিত করেছিল কংগ্রেস। দলের তরফে মন্তব্য করা হয়েছিল, ওই অপরাধীরা জেল থেকেই মুক্তি পেয়েছেন। তারা কিন্তু জামিন পাননি। ফলে তাদের যেন ‘হিরো’ হিসাবে কখনই দেখা না হয়। সোমবার কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজীব গান্ধীকে হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ৬ জনকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনার আবেদন করবে কংগ্রেস।

এদিকে আরও একটি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা পড়তে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। ছাওয়ালা ধর্ষণ কাণ্ডের এক দশক পরে আসামিদের বেকসুর খালাস করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। রায়দানের পরে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য ও বেশ কয়েকজন সমাজকর্মীকে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছিল আদালত চত্বরে। ‘সুপ্রিম’ রায়ের পর্যালোচনা চাইবেন, জানিয়েছিলেন মৃতার পরিবার। তার আগেই শীর্ষ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আরজি জানাতে চলেছে দিল্লি সরকার। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা অনুমতি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্র: টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ