গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ জানাজা হয়।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত নয়নের ময়নাতদন্ত হয়েছে। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, খন্দকার আবু আশফাক, ডা. রফিকুল ইসলাম, মোস্তাক মিয়া, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, রফিকুল আলম মজনু ও মো. আমিনুল হক।
আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মামুন হাসান, নুরুল ইসলাম নয়ন, সাবেক ছাত্রনেতা আহসান উদ্দিন খান শিপন, মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকশো নেতাকর্মী। জানাজা পড়ান ওলামা দলের আহŸায়ক মাওলানা শাহ নেছারুল হক। পরে তার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জানাজা শেষে নয়ন মিয়ার কফিন দলীয় পতাকা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। পরে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা ফুল দিয়ে তার প্রতি শেষবারের মতো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জানাজাপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ঠিকানা শেখ হাসিনা করেছেন হয় কারাগার, তা না হলে গোরস্থান। আমাদের মৃত্যুর সঙ্গে চলাফেরা করতে হচ্ছে। আর ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে! আসলে আপনারা তো খেলছেন মরণ খেলা। মৃত্যুর খেলা। আর সেই খেলার নির্মম শিকার হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের নয়ন মিয়া।
তিনি বলেন, আর কত রক্ত ঝরাবেন? এখনো দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলনে তাজা তরুণরা শার্টের বোতাম খুলে দিয়ে বুকে পুলিশের বুলেট ধারণ করতে প্রস্তুত। ত্যাগের বিনিময়ে আমরা গণতন্ত্র ফেরাবই। আমাদের মাতা, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। হয়তো আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে শহিদী মৃত্যুবরণ করতে হবে। শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কারেদর বলব, তারপরও আপনি আমাদের উদ্বেল অভিযাত্রাকে থামাতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, আগামী শনিবার কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে গতকাল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া। পরে তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নয়নের মামার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহসচিব রুহুল কবির রিজভী ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। নয়া পল্টনে জানাজা শেষে নয়নের মামা ও চাচাতো ভাইয়ের কাছে লাশ বুঝে দেওয়া হয়। আজ রাতেই পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন হওয়ার কথা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।