মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে ইরান। প্রতিবাদের আগুন নেভাতে চরম দমনপীড়নের পথে হাঁটছে খোমেনি সরকার। শনিবার রাতে সে দেশের পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে আরও ৩ জন। এনিয়ে ৩৭৮ জন প্রতিবাদী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৭ জন শিশু রয়েছে। শুধু প্রতিবাদী মিছিল নয়, নিশানা করা হচ্ছে প্রতিবাদীদের পরিবারকেও।
জানা গিয়েছে, এক প্রতিবাদীর মৃত্যুতে শনিবার সন্ধেয় শোকসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন পরিজনেরাও। সূত্রের খবর, সেই জমায়েতে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ে ইরানিয়ান রেভোলিউশনারি গার্ডের সদস্যরা। সেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে ইরানের মানবাধিকার সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ইরানের ৩৭৮ জন প্রতিবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৭টি শিশুও রয়েছে। ইরানের ৩১ প্রদেশের মধ্যে ২২টি প্রদেশের মাটিই ভিজেছে প্রতিবাদীদের রক্তে। সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে ১৩২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। কুর্দিস্তানে প্রাণ গিয়েছে ৩২ জনের।
বিদ্রোহের সূত্রপাত বছর বাইশের মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে। নীতি পুলিশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। অভিযোগ, পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। তাতেই অসুস্থ হন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি ওই তরুণীকে মারধর করা হয়নি। গ্রেপ্তারের পরে অসুস্থ হন তিনি। আক্রান্ত হন হৃদরোগে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মাহসার মৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয় আন্দোলন। রাজপথে নেমে আসে কাতারে কাতারে মানুষ। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ইসলামের নামে মহিলাদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করা শুরু হয়। কেবল মহিলারাই নন, প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন পুরুষরাও। যদিও দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ, আন্দোলনের পরেও থামছে না ইরান সরকার। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।