নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আয়োজনের মূল সংগঠক আদনান কথা দিয়েছিলেন জমকালো ইভেন্টের।হলোও তাই।একের পর এক টানাটান উত্তেজনার ১২ টি ম্যাচ উপোভগের পর বলা যায় গতকাল রাতটা ছিল বক্সিংপ্রেমীদের কাছে বিশেষ কিছু।বনানীর সোয়াট মাঠের আলো ঝলমলে মঞ্চে এদিন যে পাঞ্চ,কাউন্টার পাঞ্চ,আপার কাট আর জ্যাবে মুগ্ধতা ছড়িয়েছন নিশাদ,সুরো চাকমা ,আলামিনরা! অভিষিক্ত তরুণ বক্সারও উপহার দিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সব ম্যাচ।
বিকেল পাচটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত চলা সর্বমোট ১২টি বাউটের মধ্যে লাইট,ফেদার,ওয়েল্টারসহ ছিল বেশ কয়েক ক্যাটাগরির ম্যাচ।ফ্লাই ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত প্রথম বাউটে পরসা সানজানা জয় তুলে নেন।লাইট ফ্লাই ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত পরের ম্যাচে অভিষিক্ত আফরা খন্দকারের কাছে অধিকাংশ বিচারকের রায়ে হার মানেন রহিমা খন্দকার।এর পরের বাউটটা ছিল পাঞ্চ-কাউন্টার পাঞ্চের!এতে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে স্বর্ণজয়ী বক্সার জুয়েল আহমেদ জনি মুখোমুখি হয়েছিলেন আরেক শক্তিশালী বক্সার হিরা মিয়া।
প্রফেশাল বক্সিংয়ে এটি ছিল জনির প্রথম ম্যাচ। চার রাউন্ডের এ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত শেষ রাউন্ড পর্যন্ত চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কখনো জনি এগিয়ে যান ত পরক্ষণেই কাউন্টার পাঞ্চে ম্যাচে ফেরেন হিরা মিয়া।তবে শেষ পর্যন্ত তিন রেফারির সর্বসম্মতিক্রমে বিজয়ের মালা গলায় পড়েন জুয়েল আহমেদ জনি।জেতার পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে স্বর্ণ জয়ী এ বক্সার ইনকিলাব কে বলেন,এই অনুভূতি দারুণ! প্রফেশনাল বক্সিং এ অভিষেকটা স্মরণীয় করতে পেরেছি বলে এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করছে।আদনান ভাইকে ধন্যবাদ এমন সুন্দর এক আয়োজনের জন্য।আমাদের যাদের ক্যারিয়ারার শেষের দিকে,তাদের জন্য এটি দারুণ এক সুযোগ নিজেকে প্রমান করার।
এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত আসে।সোয়াট মাঠে বাড়তে থাকে দশর্কের ভীড়।চলতে থাকে একের পর এক বাউট।এর পরের কয়েকটি বাউটে জয়ের হাসি হাসেন সানেয়া ইসলাম(ওয়েল্টার) তানজিলা(লাইট ফ্লাইট),আমিনুল ইসলাম(ফেদার)।
এরই মাঝে কথা হয় বাংলাদেশ বক্সিং ফাউন্ডেশনের (বিবিএফ) চেয়ারম্যান আদনান হারুনের সাথে।তিনি জানালেন, বিগত ছয় মাস ধরে আমরা বাংলাদেশের প্রফেশনাল বক্সিংয়ের চর্চা করে আসছি।এটি আমাদের চতুর্থ প্রফেশনাল বক্সিং ইভেন্ট। এখানে নতুন পুরনো সব বক্সাররা অংশ নিচ্ছেন। আগামীতে আমাদের প্রতি বছর পাচ ছয়টা ম্যাচে প্রফেশনাল বক্সিং ইভেন্ট করার পরিকল্পনা আছে। প্রতিটি জেলায় এই ইভেন্ট চালু করার পরিকল্পনা আমরা হাতে নিচ্ছি। আমরা আশা করি অ্যামেচার বক্সিং এর মত প্রফেশনাল বক্সিং-এও বাংলাদেশ একদিন বিশ্বে সুনাম অর্জন করবে।
শেষদিকে কয়েকটি বাউট ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়।সপ্তম বাউটে মাঠে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পাওয়া তরুণ মহিলা বক্সার নিশাদ খানের সামনে দাঁড়াতেই পারেন নি প্রতিপক্ষ আফসানা আসফিন।দ্বিতীয় রাউন্ডেই নিশাদের এক পর এক হিটে তিনি হয়ে পড়েন টেকনটিক্যাল নকআউট!সাথে সাথে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে মাঠে উপস্থিত নিশাদ সমর্থকরা। মুল ম্যাচে অর্থাৎ শেষের দুই বাউটে সুরো কৃষ্ণ চাকমা আর আল আমিনরা ছিলেন আরো বেশি অপ্রতিরোধ্য। প্রতিপক্ষকে তারা নকআউট করেছেন প্রথম রাউন্ডেই! সব মিলিয়ে 'ব্যাড ব্লাড বনানী' নামের প্রতিকী এই বক্সিং ইভেন্ট ছিল আসলেই জমকালো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।