নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডরের ম্যাচ দিয়ে আজ মাঠে গড়াচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বিশ্বকাপের। কাতারে রাজধানী দোহার আল-খোরের আল-বায়াত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে ‘এ’ গ্রুপের এই ম্যাচটি। উদ্বোধনী ম্যাচের মাধ্যমে শুরু হয়ে যাবে মাসব্যপী কাতার বিশ্বকাপের জমাট লড়াই।
এই প্রথমবারের মত মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসছে। বিশ্বকাপে এটিই কাতারের প্রথম অংশগ্রহণ। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা। অন্যদিকে আট বছর বিশ্বকাপে ফিরেছে ইকুয়েডর। কাগজে কলমে কাতারের চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে তারা। যে কারণে উদ্বোধনী ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনায়ও এগিয়ে রয়েছে সফরকারীরা। দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কঠিন চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে চতুর্থ স্থান পেয়ে মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে ইকুয়েডর। ৯০ মিনিটের মাঠের লড়াইয়ে বাজিকরদের কাছে ৭/৫ ব্যবধানে এগিয়েও রয়েছে তারা। কিন্তু স্বাগতিক হিসেবে ঘরের মাঠে বাড়তি সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে প্রস্তুত কাতার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে উদ্বোধনী ম্যাচে এখন পর্যন্ত কোন স্বাগতিক দল হারেনি। ইতিহাস এদিক থেকে কিছুটা হলেও কাতারের পক্ষেই রয়েছে। এছাড়া ১৯৭৮ সালের পর বিশ্বকাপের কোন উদ্বোধনী ম্যাচ গোলশূন্য অমিমাংসিতভাবে ভাবে শেষ হয়নি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামার আগে এখন পর্যন্ত টানা পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে কাতার। গত সেপ্টেম্বরে চিলির বিপক্ষে ২-২ ব্যবধানে ড্র করার পর কাতার একে একে হারিয়েছে গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, পানামা ও আলবেনিয়াকে। এই ফলাফলই কাতারকে বাড়তি আত্মবিশ^াস যোগাচ্ছে। গত পাঁচ বছর ধরে স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজ বাসের অধীনে বিশ্বকাপের জন্য কাতার নিজেদের প্রস্তুত করেছে। ফুটবলের এত বড় আসরে অতীতে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক কিছুতেই তাদের মানিয়ে নেয়াটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ‘এ’ গ্রুপের অন্য দু’টি দল হচ্ছে সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডস। কাতারের লক্ষ্য স্বাগতিক হিসেবে নিজেদের সেরাটা মাঠে ঢেলে দিয়ে ভাল খেলা উপহার দেয়া। আর এই ভাল খেলা দিয়েই যতটা সম্ভব সবাইকে আকৃষ্ট করতে চায় বিশ্বকাপের এবারের আসরের স্বাগতিকরা।
আফ্রিকান নেশন্স কাপ চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল ও ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট নেদারল্যান্ডসকে মোকাবেলা করা ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৫০তম স্থানে থাকা কাতারের পক্ষে কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে কিন্তু শঙ্কা থেকেই যায়। তবে গত মাসের চারটি প্রীতি ম্যাচের জয় কাতারকে দারুণ আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। শেষ ম্যাচে আলবেনিয়ার বিপক্ষে একমাত্র গোলটি করেছিলেন কাতারের তারকা স্ট্রাইকার আলমোয়েজ আলি। দেশের হয়ে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪২ গোল করেছেন আলি। ২০০২ সালে তখনকার চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে উদ্বোধনী ম্যাচে হারিয়ে অভিষিক্ত দল হিসেবে সেনেগাল যে রেকর্ড গড়েছিল তার পুনরাবৃত্তি করতে চায় কাতার। একইসাথে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় স্বাগতিক হিসেবে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়ে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ডটা স্পর্শ করতে চায়না তারা। আজকের ম্যাচে জিততে পারলে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) একমাত্র সদস্য দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কোন ম্যাচ জয়ের ইতিহাস গড়বে কাতার। বিশ্বকাপ মাঠে গড়নোর আগে অভিবাসী শ্রমিকদের নায্য পাওনাসহ অন্যান্য আরো কিছু ইস্যুতে কাতারকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা কম হয়নি। তবে পাশাাশি বাছাই পর্বে অবৈধ খেলোয়াড় খেলানোর অভিযোগে ইকুয়েডরও সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেনি। এর আগে ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৪ সালে তিনবার বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে ইকুয়েডর এবার শুরু থেকেই এগিয়ে যেতে চায়। তাদের লক্ষ্য উদ্বোধনী ম্যাচে কাতারকে হারানো। যদিও প্রথম ও শেষবার অংশ নিয়ে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে ইকুয়েডরকে। তবে ২০১৬ সালে বিশ্বকাপের শেষ ১৬’তে খেলেছিল তারা। কাতার বিশ্বকাপের আগে পাঁচ প্রীতি ম্যাচ খেলে কোনটিতেই গোল হজম করেনি ইকুয়েডর। গত শনিবার সর্বশেষ ইরাকের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। দুই বছর আগে ইকুয়েডর দলের কোচের দায়িত্ব নেন আর্জেন্টাইন কোচ গুস্তাভো আলফারো। তার অধীনে কাতার বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ^াস বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন ইকুয়েডরের ফুটবলাররা।
এর আগে কাতার তিনবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলেছে। যার মধ্যে একটি করে ম্যাচে জয়, ড্র ও হার রয়েছে স্বাগতিকদের। আলবেনিয়ার বিপক্ষে শেষ প্রীতি ম্যাচে কাতারের অ্যাটাকার আহমেদ আয়েলদিন ইনজুরিতে পড়ে ২৬ মিনিটে মাঠ ছাড়েন। এই একটি ইনজুরি ছাড়া আপাতত কোন ঝুঁকি নেই কাতার শিবিরে। যদিও কাতারের মেডিকেল টিম আশ্বস্ত করেছে আয়েলদিনের ইনজুরি ততটা গুরুতর নয়। অন্যদিকে দলের সবাই সুস্থ আছে বলেই ইকুয়েডর মেডিকেল টিমের দাবী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।