নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন

‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সুইডেনে অনুষ্ঠিত ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে ফুটবলের রাজা পেলে তার আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন বিশ্বয় জাগিয়ে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার দেশ ব্রাজিলকে সাহায্য করেছিলেন প্রথম বিশ্বকাপ জিততে। সবশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে, অনেক ফুটবল বোদ্ধাই পেলের মত অমিত সম্ভাবন দেখতে পেয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপের মাঝে। সেই সমইয় মাত্র ১৯ বছর বয়স ছিল এই ফরোয়ার্ডের। আর সত্যিই রাশিয়াতে এমবাপে নিজেকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যান তার ফুটবল শৈলীর মাধ্যমে। ফ্রান্সকে দ্বিতীয় বারের মত বিশ্বসেরা করতে রাখেন অসামান্য অবদান।
গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে ফ্রান্সের একমাত্র গোলটি আসে এমবাপের পা থেকে। শেষ ষোলতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফ্রান্সের রোমাঞ্চকর ৪-৩ গোলের জয়ে চার মিনিটের ব্যবধানে দুবার জালের দেখা পান এই ফরাসি তরুণ ফুটবলার। শুধু এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে গ্রিজম্যানের কাছ থেকে, সেই গোলের এসিস্টটাও ছিল এমবাপের। গোটা ম্যাচে এমন যুগান্তকারী পারফরম্যান্স করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পাইয়ে দেন তিনি।
এমবাপে অভিষেক বিশ্বকাপেই দারুণ মনোমুগ্ধ প্রভাব ফেলেন। তখনই মনে হচ্ছিল ফুটবল পন্ডিতরা যে, তাকে পেলের সাথে তুলনা করেছিল, তা কতটা যথার্থ। ফ্রান্স সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ১-০ ব্যবধানে জেতে। তারপরই ক্রোয়শিয়ার বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক ফাইনাল। লুঝনিকি স্টেডিয়ামে সেই ফাইনালে ফ্রান্স একটি উড়ন্ত সূচনা করেছিল। প্রথমার্ধেই ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। কিন্তু কোচ দিদিয়ের দেশম তার চাচ্ছিলেন ম্যাচ জয় আগেভাগেই নিশ্চিত করতে। তার দলকে দারুণ একটা পরামর্শও দিয়েছিলেন দেশম, ‘বলটি দাও কিলিয়ানকে। যত তাড়াতাড়ি পারো।’ ফুটবলাররা তাদের ম্যানেজারের কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। বিরতির পর তৃতীয় গোলটি করেন পল পগবা। এরপরই লুকাস হার্নান্দেজ বল বাড়ান এমবাপের দিকে। আর ১৯ বছর বয়সী তরুণ একটি চোখে লেগে থাকার মত স্ট্রাইক করে ক্রোয়েশিয়ার লড়াইয়ের শেষ আশাটুকুও ধ্বংস করে দেন।
ডি বক্সের ১০ গজ বাইরে বল পান এমবাপে। তার সামনে তখন তিনজন ডিফেন্ডার। কিন্তু তিনি সরাসরি শুট করার সিদ্ধান্ত নেন। তার ফুটওয়ার্কের মাধ্যমে নিকটতম ডিফেন্ডারকে ধোঁকা দেন। তারপর মাটি কামড়ানো মাপা শটটি তার সাবেক ক্লাব সতীর্থ সুবিসকে ব্যর্থ বানিয়ে জালে পাঠান। গোলটির মাহাত্ব্য ছিল অশেষ। এমবাপে পূর্বের ৬০ বছরের মধ্যে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হয়েছিলেন। একই সাথে বইয়স ২০ পুর্ণ হবার আগেই নিশ্চিত করেছিলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া।
সম্প্রতি ফিফাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশম বলেন, ‘কিলিয়ান সেই অসাধারণ খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন, যারা প্রায়শই আসে না ফুটবলে। তাকে দলে পেয়ে আমি আনন্দিত। কোন সংকোচ ছাড়াই বলতে চাই যে, আমরা ভাগ্যবান, কারণ সে ফরাসি। রাশিয়ায় আমাদের জয়ে ও দারুন ভূমিকা পালন করেছিল। সে দারুণ লড়াকু স্বভাবের এক ফুটবলার। আমার বিশ্বাস সে অবশ্যই কাতার বিশ্বকাপের আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে তার পারফরম্যান্সের মাধ্যমে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।