পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ৪৬তম বিজয় দিবস উপলক্ষে কাল শুক্রবার বিকেলে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও তার পত্মী রাশিদা খানম বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনের লনে প্রেসিডেন্টের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সমাজের নানা পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর ছিলো বঙ্গভবন। বরেণ্য শিল্পীদের দেশাত্মবোধক ও লোকগান, শিশুশিল্পী আর সশস্ত্র বাহিনীর বাদক দলের সংগীতের মূর্ছনা এই আয়োজনের স্বাতন্ত্র এনে দিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। বিকাল ৪টার কিছু পরে স্ত্রী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল বঙ্গভবনের মাঠে আসেন প্রেসিডেন্ট। এর কিছুক্ষণ আগে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী মঞ্চে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। তারা ভারত ও শ্রীলংকার ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সদস্যদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠান মাঠের ভিভিআইপি এনক্লোজারে বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী কেক কাটেন। কেক কাটার পর তারা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশি অতিথি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সমারিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মন্ত্রীদের মধ্যে বঙ্গভবনের এই অনুষ্ঠানে ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আইনজীবী আমির-উল-ইসলাম, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রব, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে শিল্পী রফিকুল আলম, শাকিলা জাফর, ফাহমিদা নবী, সন্দীপন, প্রিয়াংকা বিশ্বাস ও সজীব দাস গেয়ে শোনান। এছাড়া শিশু একাডেমির শিশু শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।