Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারত থেকে সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল কাতার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩৭ পিএম

ভারত থেকে সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি করে থাকে কাতার। ফুটবল বিশ্বকাপের আগে আশা করা হয়েছিল যে ওই আমদানির পরিমাণ আরো বাড়বে। তবে সাম্প্রতিককালের কিছু চালানে ক্ষতিকারক মাইক্রোব্যাক্টেরিয়া মেলায় এবার ভারত থেকে সাময়িকভাবে সামুদ্রিক খাদ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ। আগামীকাল রোববার শুরু হতে চলা বিশ্বকাপের আগে সেদেশে খাদ্য সামগ্রীর পরীক্ষা চলেছিল। ওই সময়ই দেখা যায়, ভারত থেকে রফতানি হওয়া কিছু চালানের চিংড়ির গুণগত মান ঠিক নেই। জানা গেছে, যে চালান নিয়ে সমস্যা, সেগুলো অক্টোবর নাগাদ ভারত থেকে কাতারে গিয়ে পৌঁছেছিল।

পরীক্ষার পর ভারতীয় চিংড়ির গুণগত মান নিয়ে সমস্যার বিষয়টি স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানায় ওই দেশের ‘মেরিন প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি’।

জানা গেছে, ভারতের ছয়টি রফতানিকারকের চালান দেয়া চিংড়িতে সমস্যা পাওয়া গেছে। এদিকে ভারতের ‘সিফুড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন’ জানিয়েছে যে কাতার কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে শিগগিরই তারা ভারতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। তবে চিংড়িসহ সিফুড রফতানির আগেই ভারতের ‘এক্সপোর্ট ইনস্পেকশন এজেন্সি’র (কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে) অনুমোদন পেতে হবে।

জানা গেছে, কাতারের ‘মেরিন প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি’ ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে থাকা ভারতীয় সংস্থাগুলোকে শোকজ নোটিশ ধরিয়েছে। অপরদিকে ভারতীয় ‘এক্সপোর্ট ইনস্পেকশন এজেন্সি’ ওই সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। হিসাব বলছে, গতবছর ভারত থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৪০০০ টন সিফুড রফানি করা হয়েছিল কাতারে। ভারতের চিংড়ি এবং সিফুডের খুব গুরুত্বপূর্ণ বাজার কাতার। তাই এভাবে কাতার বিশ্বকাপের আগে ভারতের সিফুড শিল্পে বড় ধাক্কা খেয়েছে এই নিষেধাজ্ঞার জেরে। তবে ওই সমস্যা মেটাতে উদ্যত হয়ে ব্যবসায়িক সংগঠন এবং ভারত সরকার। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস



 

Show all comments
  • Habibullah ২০ নভেম্বর, ২০২২, ৪:৩৯ এএম says : 0
    ভারতীয় পণ্য সবসময় জাল এবং সঠিক স্বাস্থ্য সুবিধা নেই। ভারতীয় পণ্যগুলি মানুষের জন্য সত্যিকারের হুমকি এবং মৃত্যু ঘটাতে পারে৷ আফ্রিকার কাশি সিরাপ ঘটনার দিকে ফিরে তাকান৷ এইটা শুধুমাত্র একটা উদাহরণ. ভারতীয় পণ্যের বেশিরভাগই গোমূত্র ধারণ করে।
    Total Reply(0) Reply
  • Shyamal Das ২০ নভেম্বর, ২০২২, ১১:৫০ পিএম says : 0
    Hote pare problem hoyeche. Ota to are farming er mach nay. Samudra theke dhore ana. Tabe eta thik india theke je sab jinis baire raptani hay tar gungata man anek valo. Kichu pagal fakirer kathay ki ase jay
    Total Reply(0) Reply
  • Tutul Biswas ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৩:০৯ পিএম says : 0
    আরে ভাই ভেজাল সব দেশেই কম বেশি হয়ে থাকে।। শুধু ভারতের উপর দোষারোপ করা ঠিক হবে না ভাই।। আমাদের দেশে আরো বেশি ভেজাল হয়ে থাকে যেই গুলো প্রকাশ করা যায় না বা হয় না।।
    Total Reply(0) Reply
  • সলিম ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ১১:১৯ এএম says : 0
    ভারতের কাছে টাকা আসে মুসলিমদের কাছ থেকে আর ভারতীয়রায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • সলিম ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ১১:১৯ এএম says : 0
    ভারতের কাছে টাকা আসে মুসলিমদের কাছ থেকে আর ভারতীয়রায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • আলী এইচ ফেরদৌস ২৬ নভেম্বর, ২০২২, ১০:৫২ এএম says : 0
    যে দেশের অধিকাংশ মানুষ গোমুত্র পান করে, কম-বেশী সবক্ষেত্রেই গোবর ও গোমুত্র ব‍্যবহার করে তাদের রপ্তানীজাত পণ‍্য দুষিত, বিষাক্ত ও জীবাণুসংক্রমিত হওয়া খুব স্বাভাবিক নয় কি??? ভাবতে অবাক লাগে যে একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষের যুগেও এমন মূর্খ, বলদ ও বর্বর কোনো সম্প্রদায় থাকতে পারে!!!
    Total Reply(0) Reply
  • সাহাবঊদ্দিন ২৬ নভেম্বর, ২০২২, ১১:৪৬ এএম says : 0
    ভারত সবসময় চাই অন্যর ক্ষতি করে নিজে লাভবান হতে।
    Total Reply(0) Reply
  • সাহাবঊদ্দিন ২৬ নভেম্বর, ২০২২, ১১:৪৬ এএম says : 0
    ভারত সবসময় চাই অন্যর ক্ষতি করে নিজে লাভবান হতে।
    Total Reply(0) Reply
  • md.nasir uddin ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ৭:৫৫ এএম says : 0
    ভারত এখন গো-মুত্র পান করার দেশ।তাদের সরকার গো-মুত্র কে প্রধান্য দিচ্ছে।অপরদিকে মুসসলমানদের ধর্মীয় কাজে গো-মুত্র হারাম। গো-মুত্রের সংস্পর্শে নামাজ হয়না। অপরদিকে ভারত ভেজাল খাদ্য,ঔষধসহ নিত্যপন্য তৈরীকরে বিভিন্ন দেশে বিক্রয় করার অভিযোগ আছে। তাই কাতার সরকারের পদক্ষেপ কে সঠিক মনে করি।
    Total Reply(0) Reply
  • md.nasir uddin ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ৭:৫৬ এএম says : 0
    ভারত এখন গো-মুত্র পান করার দেশ।তাদের সরকার গো-মুত্র কে প্রধান্য দিচ্ছে।অপরদিকে মুসসলমানদের ধর্মীয় কাজে গো-মুত্র হারাম। গো-মুত্রের সংস্পর্শে নামাজ হয়না। অপরদিকে ভারত ভেজাল খাদ্য,ঔষধসহ নিত্যপন্য তৈরীকরে বিভিন্ন দেশে বিক্রয় করার অভিযোগ আছে। তাই কাতার সরকারের পদক্ষেপ কে সঠিক মনে করি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ