Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শুক্রাণু কমছে, প্রজননে সঙ্কটে পড়তে পারে মানুষ : গবেষণা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

দু’শর বেশি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে জার্নাল হিউম্যান রিপ্রোডাকশন আপডেটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ সাবধানবাণী দেওয়া হয়েছে। খবরে বলা হয়, শুক্রাণুর পরিমাণ কমা প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে মানবজাতি শিগগিরই প্রজনন সংকটের মুখোমুখি হতে পারে বলে সাবধান করেছেন গবেষকরা। দুইশর বেশি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে জার্নাল হিউম্যান রিপ্রোডাকশন আপডেটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ সাবধানবাণী দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিসি নিউজ। ওই গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান বলছে, ১৯৭৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে গড় শুক্রাণু ঘনত্ব প্রতি মিলিলিটারে আনুমানিক ১০১ দশমিক ২ মিলিয়ন থেকে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ কমে প্রতি মিলিলিটারে ৪৯ মিলিয়নে পৌঁছেছে। এই সময়ের মধ্যে শুক্রাণুর পরিমাণও কমেছে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে প্রকাশিত একই দলের করা এক গবেষণায় আগের ৪০ বছরে শুক্রাণুর ঘনত্ব অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে সেসময় যেসব তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে গবেষকরা ওই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন, সেসব তথ্যউপাত্ত ছিল কেবল ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পাওয়া। এ নিয়ে গবেষক দলটিকে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল। তবে সর্বশেষ গবেষণায় তথ্যউপাত্ত নেওয়া হয়েছে ৫৩টি দেশ থেকে। এ গবেষণা বলছে, কেবল ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়াতেই নয়, শুক্রাণুর ঘনত্ব কমছে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার পুরুষদেরও। এ ঘনত্ব কমার হার বাড়ছেও উদ্বেগজনক হারে। সব মহাদেশের ১৯৭২ সাল থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, শুক্রাণুর ঘনত্ব প্রতি বছর ১ দশমিক ১৬ শতাংশ করে কমছে; ২০০০ সাল থেকে কমার এই হার বছরপ্রতি ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ করে। “এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করা দরকার। হ্যাঁ, আমার মনে হয় এটি একটি সংকট, যা এখনই মোকাবেলা করা উচিত, কেননা পরে এটি এমন জায়গায় চলে যেতে পারে, যেখান থেকে আর ফেরার কোনো পথ থাকবে না,” বলেছেন গবেষক দলের সদস্য, জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাজাই লেভিন। আগের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শুক্রাণুর ঘনত্ব প্রতি মিলিলিটারে ৪০ মিলিয়নের নিচে নেমে এলে প্রজনন সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্বশেষ গবেষণায় ২০১৮ সালে গড় শুক্রাণু ঘনত্ব প্রতি মিলিলিটারে ৪৯ মিলিয়ন দেখা গেছে। লেভিন বলছেন, এটা গড় হিসাব; অর্থ্যাৎ, অসংখ্য পুরুষের শুক্রাণু ঘনত্ব এখনই প্রতি মিলিলিটারে ৪০ মিলিয়নের নিচে, এবং এই সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। “কমার এ হার স্পষ্টতই বিশ্বের জনসংখ্যার প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসেরই প্রতিনিধিত্ব করছে,” বলেছেন হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক। হিউম্যান রিপ্রোডাকশন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ