মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পিয়ংইয়ং তাদের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-১৭’র পরীক্ষা চালায় শুক্রবার। উত্তর কোরিয়ার নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উন পারমাণবিক অস্ত্র দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক হুমকি মোকাবেলার অঙ্গীকার করেছেন। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ কিমের এ অঙ্গীকারের কথা জানায় বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। কোরীয় উপদ্বীপ ও এর আশপাশের অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনসহ নিজেদের নিরাপত্তা উপস্থিতি জোরদার করার ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন। এর প্রতিক্রিয়ায় ‘কঠোর সামরিক জবাবের’ হুঁশিয়ারি দেওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে একটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। পরদিন শুক্রবার পিয়ংইয়ং তাদের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-১৭’র পরীক্ষা চালায়। সেই উৎক্ষেপণ কিম তার ‘স্ত্রী ও মেয়েকে’ নিয়ে দেখেছেন বলে শনিবার জানিয়েছে কেসিএনএ। মেয়ের সঙ্গে কিমের ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। এ ছবির মাধ্যমেই কিমের মেয়েকে প্রথমবার প্রকাশ্যে দেখা গেল, বলছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। কিমের এ মেয়ের নাম কিম চুয়ে এবং তার জন্ম ২০১৩ সালে বলেও ধারণা দিয়েছে তারা। সাদা জ্যাকেট ও লাল জুতা পরিহিত কিমের মেয়ে বাবার সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং পরে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষায় আনন্দে উদ্বেলিত হন। মেয়েকে নিয়ে প্রথমবার উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে যাওয়া কিম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের বৈরি নীতির ফলে সৃষ্ট হুমকির কারণেই তার দেশকে তাদের ‘অনন্য পারমাণবিক প্রতিরোধ জোরদার উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত’ করতে হয়েছে। “কিম জং উন দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছেন যে, যদি শত্রুরা তাদের হুমকি অব্যাহত রাখে, তাহলে আমাদের দল ও সরকার পারমাণবিক অস্ত্র দিয়েই পারমাণবিক শক্তির প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে,” বলেছে কেসিএনএ। হোয়াসং-১৭ এর উৎক্ষেপণকে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রবল পারমাণবিক প্রতিরোধ’ সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া প্রতিরক্ষা নির্মাণ কৌশলের’ অংশ বলেছে উত্তর কোরিয়ার এ রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা; তারা একে ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর কৌশলগত অস্ত্র’ বলেও অভিহিত করেছে। শুক্রবার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০৪১ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে এবং ৬৯ মিনিটে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়, বলেছে কেসিএনএ। এর আগে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার এ হোয়াসং ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৫ হাজার কিলোমিটারের মতো পথ পাড়ি দিতে সক্ষম বলেই তারা মনে করছেন। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুই রোববার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ত্রিদেশীয় সম্মেলনের ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে পিয়ংইয়ংয়ের ‘কঠোর প্রতিক্রিয়ার’ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ওই ত্রিদেশীয় সম্মেলনে নেতারা উত্তর কোরিয়ার চলমান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমালোচনা করে নিজেদের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। চোয়ে তাদের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার জন্য কোরীয় উপদ্বীপের আশপাশে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের যৌথ সামরিক মহড়া এবং ওই অঞ্চলে মার্কিন নিরাপত্তা উপস্থিতি জোরদারের প্রচেষ্টাকে দায়ী করেন। রয়টার্স, কেসিএনএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।