Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএনপি সমাবেশ ডাকলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা আতঙ্কে থাকেন : তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ৫:৩৭ পিএম | আপডেট : ৬:১৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২২

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে তখন পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা সবাই আতঙ্কে থাকেন। কারণ অতীতে ২০১৩-১৪ ও ’১৫ সালে বাস-ট্রাক পুড়িয়েছিল বিএনপি। বাস-ট্রাক ও জনগণের সম্পত্তির ওপর হামলা করেছিল তারা। সেজন্য মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকেন। সুতরাং এটার সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই।


তিনি বলেন, পরিবহন ধর্মঘট, সেটা তো প্রাইভেট অর্গানাইজেশন। সেখানে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাসদ, আওয়ামী লীগ সব দলের নেতা আছেন। সবাই মিলে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সমিতি। তারা সিদ্ধান্ত নেন তাদের নিজস্ব নানাবিধ কারণে।


শনিবার চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শনে যান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।


ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের জনসভায় ইনশাআল্লাহ লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে। আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে এখানে বিএনপি একটি সমাবেশ করেছিল। মাঠের তিনভাগের এক ভাগ বাদ দিয়ে একটি মঞ্চ করেছিল। বাকি দুইভাগের মধ্যেও অর্ধেক খালি ছিল। তারা যেভাবে বলেছিল আসলে সেই রকম মানুষ হয় নাই।


তিনি বলেন, পলোগ্রাউন্ডের কোনায় যে একটা কমিউনিটি হল আছে ওখানে আগে ভ্যারাইটি শো হতো। সেই ভেরাইটি শো’তে যে পরিমাণ মানুষ হতো তার চেয়ে একটু বেশি মানুষ হয়েছে বিএনপির সমাবেশে। চট্টগ্রামে জব্বারের বলী খেলায়ও বিএনপি’র সমাবেশের চেয়ে তিনগুণ বেশি মানুষ হয়।
বিএনপি সমাবেশ ডাকলে পরিবহন ধর্মঘটসহ সরকার বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে - মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আমাদের সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল তারা। আমাদের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে হামলা হয়েছিল, বোমা-গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। বিএনপি’র সমাবেশে আজকে পর্যন্ত কি একটি পটকাও ফুটেছে। সরকার সহযোগিতা ও নিরাপত্তা বিধান করছে বিধায় পটকাও ফোটে নাই।


এসময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা সভাপতি এম এ সালাম সাধারন সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 



 

Show all comments
  • Abu Abdullah ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ১০:২২ পিএম says : 0
    বিএনপি কে বলছি সপ্তাহে একটি করে মিটিং ডাকেন দেখবেন হরতাল সাকসেস
    Total Reply(0) Reply
  • শওকত আকবর ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ৫:৫৩ পিএম says : 0
    আপনি ঠিকই বলেছেন।এখন আর হরতাল ডাকা লাগেনা সমাবেশ ডাকলেই হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Altaf Hossain ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩৮ পিএম says : 0
    পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা আতঙ্কে থাকেননা, আমার মনে হয় সরকার অতংকে থাকেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Joy ২০ নভেম্বর, ২০২২, ৫:৪৬ এএম says : 0
    সবাই জানে কে জনসমাবেশকে ভয় পায়। প্রতিটি জনসমাবেশের পরে আপনার হৃদয় পরীক্ষা করা দরকার। তুমি নিশ্চয়ই চাও না যে তোমার স্ত্রী এতিমদের সাথে বিধবা হোক
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ