নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০০২ সালের ফাইনালে রোনালদো নাজারিও, রিভালদো ও রোনালদিনহোর উপহার দেওয়া জাদুকরী মুহ‚র্তের পর আর কখনো ফাইনালেই ওঠা হয়নি ব্রাজিলের। এবার পারবে কিনা সময় সেই উত্তর দেবে। তবে ২০ বছর আগেও ফুটবল বিশ্বকাপের আসর এবারের মত বসেছিল এশিয়ায়। কাতার বিশ্বকাপে হেক্সা বা ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে কেমন হলো কোচ তিতের ব্রাজিল। সেটাই দেখা যাক।
এবারের ব্রাজিল দলে চমক আছে। ফরোয়ার্ড ফিরমিনহো ও ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েলকে বাদ দিয়ে দল দিয়েছেন তিতে। কৌতিনহোর কপাল পুড়েছে চোটে। তবে এতো তারকায় ঠাসা দলে কেউ না কেউ তো বাদ পড়বেনই। এবারের বিশ্বকাপের আগে তিতে ব্রাজিলকে ৮টি করে ম্যাচ খেলিয়েছেন ৪-৩-৩ ও ৪-৪-২ ফর্মেশনে। অন্যদিকে ৬টি ম্যাচে অনুসরন করেছেন ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। তবে ব্রাজিলের সাম্বার ছন্দটা কেবল সবশেষ ফর্মেশনেই পাওয়া যায়। এভাবে খেললে নেইমার এটাকিং মিডফিলদ পজিশনে উপ্নেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারেন। ব্রাজিলের দুই উইঙ্গার তখন অনেক উপরে খেলন এবং অনেক ওয়াইড এঙ্গেলে থাকেন। নেইমার সবচেয়ে বেশি কার্যকর সেই সময় হন। দুই রাইটব্যাক তখন নিচে থাকে এবং ডিফেন্সে প্রচুর সহায়তা করতে পারে। প্রচলিতভাবেই ব্রাজিল বলের দখল রাখতে পছন্দ করে।
৪-২-৩-১ ফর্ফেশনে থাকাকালীন ব্রাজিল, প্রতিপক্ষের লো বøক ভাঙ্গেন, বল দখলে রেখেই। প্রচুর পাস নিজেরা দেওয়া নেওয়া করলে, লো বøকে খেলা দলের ফুটবলরা এক পর্যায়ে সামনে আসে। আর তখনই সুযোগ তৈরী হয়। তবে ইদানিং সেলেসাওরা এরিয়েল বলে যথেষ্ঠ উন্নতি করেছে। ব্রাজিল দলে একই কৌশলের দুইজন গোলরক্ষক আছেন। এলিসন ও এদারসন। তবে লিভারপুলে খেলা এলিসনেই আস্থা তিতের। তনে সেন্টারব্যাকে মার্কিনিউসের সঙ্গে অভিজ্ঞ থিয়াগো থাকবেন নাকি রিয়ালে খেলা মিলিতো খেলবেন তা আসর শুরুর পরই জানা যাবে। তবে দলটির বাকি বিভাগগুলোর তুলনায় যথেষ্ঠ পিছিয়ে আছেন জুভেন্টাসে খেলা দুই ফুলব্যাক, দানিলো এবং সান্দ্রো।
মিডফিল্ডে কাসেমিরোকে রেখেই দল গড়বেন তিতে, এই ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করার মত কেউ নেই। ফেবিনিও, গিমারেসের মত ইংলিশ লিগে খেলা পরীক্ষীত ফুটবালার থাকার পরও কাসেমিরোর সঙ্গী হতে পারেন ক্লাব সতীর্থ ফ্রেড। রাইট উইংয়ে তিতের পছন্দ রাফিনহা, যদিও অ্যান্তোনিও আছেন তুখোর ফর্মে। আর রাইট উইংয়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ব্রাজিল কোচ প্রায়শয় উপেক্ষা করেন পছন্দের উইঙ্গার পাকেতার জন্য। স্ট্রাইকার হিসেবে রিচার্লিসন এবং গ্রাব্রিয়েল জেসুস আছেন। তিতের এই দলের সবচেয়ে বর শক্তি হচ্ছে তার বেঞ্চ। দুই ফুলব্যাক ছাড়া প্রতিটা বিভাগেই আছে সম যোগ্যতার বদলি। খেলার যেকোন সময় নেমে ম্যাচের চেহরা বদলানোর যোগ্যতা আছে বেঞ্চের ফুটবলারদের।
সার্বিয়ার বিপক্ষে ২৪ তারিখ দিবাগত রাতে ম্যাচে দিয়ে, এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হবে নেইমার-কাসেমিরদের। গ্রæপ ‘জি’তে তাদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন। একতা সময় মেসি-রোনালদোর কাতারে নাম উচ্চারিত হতো নেইমারের। নিজেকে সেই পর্যায়ে মেলে ধরতে পারেননি এই ৩০ বছর বয়সী ফুটবলার। এমনকি আগের দুই বিশ্বকাপেও আগুনে কোন পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি তিনি। তবে এবার কাতারে বিশ্বকাপ জইয়ের শেষ সুযোগ তিনি কোনভাবেই হারাতে চাইবেন না। যদি নেইমার জ্বলে উঠতে পারেন, তাহলে ব্রাজিলের ষষ্ঠ শিরোপা জইয়ের সম্ভাবনাও প্রবল।
গত দশ বছরে, তিনি ধীরে ধীরে তার কৌশল প্রসারিত করেছেন এবং ব্রাজিলের ড্রেসিং রুমের বয়স্ক এবং তরুণ উভয় সদস্যের প্রশংসা অর্জন করেছেন। সেলেকাও ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ফর্মেশন ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে সা¤প্রতিকটি ঘানার বিপক্ষে তাদের শেষ-কিন্তু-একটি বন্ধুত্বপ‚র্ণ খেলায় এসেছে, যখন বল ছাড়াই ৪-৩-৩ ফর্মেশন বল ছাড়াই ৩-২-৫ হয়ে গিয়েছিল দলের চিত্তাকর্ষক আক্রমণকারী ফায়ারপাওয়ার মিটমাট করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।