Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী নলিনী বললেন তিনি অনুতপ্ত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২২, ৭:৫৩ পিএম

৩১ বছর পর অবশেষে মুক্তি। জেল থেকে বেরলেন রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মূল দোষী নলিনী শ্রীহরণ। আর জেলমুক্ত হয়েই প্রথম অনুতাপ প্রকাশ করলেন তিনি। নলিনীর কথায়, "আমি সত্যিই দুঃখিত। ঘটনার দিন বিস্ফোরণে যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাদের পরিবারের জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। যা হয়েছে তার জন্য আমি অনুতপ্ত।" এখানেই শেষ নয়, নলিনী আরও বলেন, "এটা নিয়ে আমরা অনেক বছর ধরে ভেবেছি। আমরা সত্যিই অনুতপ্ত। তারা তাদের কাছের মানুষকে হারিয়েছেন। আশা করি এই যন্ত্রণা থেকে কখনও তারা মুক্তি পাবেন।"

ভারতে আর থাকতে চান না নলিনী শ্রীহরণ। জেল থেকে বেরিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় মূল দোষী। তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটেনে গিয়ে মেয়ের কাছেই থাকব। স্বামীর সঙ্গেই খুব শীঘ্র ব্রিটেনে উড়ে যাবেন তিনি। সঙ্গে যাবেন এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত অপরাধী মুরুগানও। রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চান না নলিনী। তার বক্তব্য, ‘না। তাদের সঙ্গে একদম দেখা করতে চাই না।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নলিনী সহ ছয়জনের মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় ৩১ বছর কারাদণ্ড ভোগ করার পর তাদের মুক্তি দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট মুক্তির রায়ে স্পষ্টত খুশি নলিনী শ্রীহরণ। তার প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, তিনি জঙ্গি নন।

কী ঘটেছিল রাজীব গান্ধীর হত্যার দিন?

সালটা ছিল ১৯৯১। ওই সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করা হয়। শ্রীলঙ্কার তামিল গোষ্ঠী এলটিটিই’র সদস্য ধানু নামে এক মহিলা ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড বলে জানা গিয়েছিল। যদিও আত্মঘাতী বিস্ফোরণে তারও মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনায় নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস, জয়কুমার এবং এজি পেরারিভালান সহ মোট সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু, এরপর অভিযুক্তরা প্রাণভিক্ষা চেয়ে প্রেসিডেন্টের দ্বারস্থ হন। সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে দেরি হওয়ায়, ২০১৪ সালে অভিযুক্তদের প্রাণদণ্ড সুপ্রিম কোর্টে বদলে যায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে। সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ