Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেই অস্ট্রেলিয়ার সাথে বড় হার ইংল্যান্ডের

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২২, ৬:২৮ পিএম

মাত্র চার দিন আগেই পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করে ইংল্যান্ড। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ উদ্‌যাপন শেষ হতে না হতেই হারের স্বাদ পেল ইংল্যান্ড। তবে চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল খেলতে পারেননি দাভিদ মালান।

সুস্থ হয়েই চমৎকার এক ওয়ানডে সেঞ্চুরি উপহার দিলেন টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতার দিনে তার ইনিংসেই লড়ার মতো পুঁজি পেল ইংল্যান্ড। তবে বোলারদের ব্যর্থতায় লড়াই করতে পারল না।

অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে অনায়াসেই ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল প্যাট কামিন্সের দল। আর ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে প্যাট কামিন্সের শুরুটা হলো জয় দিয়ে। বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেইডে প্রথম ওয়ানডে ইংল্যান্ডের ২৮৭ রান তারা পেরিয়ে যায় ১৯ বল বাকি থাকতেই।

আগে ব্যাট করে মালানের সেঞ্চুরিতে ২৮৭ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ১৯ বল আগে ওই রান পেরিয়ে জিতে যায় অজিরা। ২৮৮ রানের লক্ষ্যে উড়ন্ত শুরু আনেন ওয়ার্নার-হেড। টি-টোয়েন্টিতে বাজে ছন্দ পার করে ওয়ানডেতে নেমেই নিজেকে খুঁজে পান ওয়ার্নার। ২০তম ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙার আগে ১৪৭ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ৫৭ বলে ৬৯ রান করে আউট হন হেড।

এরপরস্মিথকে নিয়েও আরেকটি জুটি পান ওয়ার্নার। ৫৩ রানের জুটির পর সেঞ্চুরির কাছে থাকা ওয়ার্নারকে ফেরান ডেভিড উইলি। ৮৪ বলে ৮৬ করে থামেন তিনি। চারে নেমে মারনাশ লাবুশানেও দ্রুত ফিরে যান উইলির বলে। আলেক্স কেয়ারিকে (২৮ বলে ২১) নিয়েও এগিয়ে যান স্মিথ। লিয়াম ডসনের বলে কেয়ারি ফেরার পর স্মিথের সঙ্গে মিলে বাকি কাজ সারেন ক্যামেরন গ্রিন। (২৮ বলে ২০)। দলকে ম্যাচ জিতিয়ে ৭৮ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন স্মিথ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় ইংল্যান্ড। প্যাট কামিন্সের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিল সল্ট। স্টার্ক বোল্ড করে দেন জেসন রয়কে। চারে নামা জো ভিন্সও ব্যর্থ। ৬ বলে ৫ রান করা এই ব্যাটারকে আউট করেন কামিন্স। এরপর স্যাম বিলিংস, জস বাটলারের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন মালান। থিতু হয়েও ফিরে যান দুজনেও।

এক পাশে টিকে একা রান বাড়াতে থাকেন মালান। ৮ম উইকেটে ডেভিড উইলির সঙ্গে ৫১ বলে ৬০ রানের জুটি পান মালান। ১২৮ বলে ১২ চার, ৪ ছক্কায় তার ১৩৪ রানের ইনিংস থামে ৪৬তম ওভারে। এরপর রান বাড়ানোর কাজটা করেছেন উইলি। ৪০ বলে ৩৪ করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তবে ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে এই রান যথেষ্ট ছিল না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ