Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অবশেষে রংপুরের দ্বিতীয় শিরোপা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০৫ এএম

শেষ রাউন্ডে সিলেট-রংপুরের ম্যাচটা ছিল অলিখিত ফাইনাল। পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় ড্র করলেই চলত রংপুরের, প্রথমবার শিরোপা জিততে জয়ের বিকল্প ছিল না সিলেটের। শেষ পর্যন্ত সিলেটের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েই জয় তুলে নিয়েছে রংপুর। জাতীয় ক্রিকেট লিগে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। গতকাল বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় দিনেই হয়ে গেছে খেলার ফায়সালা। সিলেটকে ৫ উইকেটে হারিয়ে উল্লাসে মেতেছে আকবর আলির দল। জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে স্রেফ ৮৮ রানের লক্ষ্য ছিল রংপুরের। উত্তরের দলটি প্রথম সেশনেই সেরে নেয় কাজ। দলকে জিতিয়ে ৪৩ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন মীম মোসাদ্দেক।

বগুড়ার ঘাসে ভরা উইকেটে ডিউক বলের সামনে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৭ গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে ইবাদত হোসেনের ঝাঁজের পরও ১৮৮ রান জড়ো করে রংপুর। দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সিলেট। তারা ১৬৮ রান করলে সহজ লক্ষ্য পেয়ে নিজেদের কাজ সেরে নেয় রংপুর।
২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রথমবার জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর। এরপরও ধারাবাহিক ছিল তারা। গত চার আসরের মধ্যে তিনবার হয় রানার্সআপ। এবার দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলে দেশের প্রথম শ্রেণীর সবচেয়ে বড় আসরে নিজেদের দাপট প্রতিষ্ঠা করল তারা। রংপুরের জয়ে অবদান বেশ কজনের। প্রথম ইনিংসে সিলেটকে ১০৭ রানে গুটিয়ে দিতে চার পেসার সোহেল রানা, মুশফিক হাসান, রবিউল হক, আরিফুল হক আর আব্দুল্লাহ আল মানুন মিলে নেন ৯ উইকেট। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন পান এক উইকেট।
ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা, তানজিম সাকিবকে নিয়ে গড়া সিলেটের দারুণ পেস আক্রমণের ঝাঁজ সয়ে মিম মোসাদ্দেকের ৩৮ ও অভিজ্ঞ নাসির হোসেনের ৪১ রানে ১৮৮ রান করে ৮১ রানের মহামূল্যবান লিড নিয়ে নেয় আকবর আলির দল। ম্যাচে ফিরতে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রান করতে হতো সিলেটকে। তৌফিক খান তুষার আর নাসুম আহমেদ ছাড়া কেউই জুতসই রাননি। সিলেটকে এবার ১৬৮ রানে আটকে দিতে মিডিয়াম পেসে ৪০ রানে ৪ শিকার ধরেন মামুন।
সহজ লক্ষ্য পেরুতে গিয়েও ২৬ রানে ইবাদত-রাজার তোপে দুই ওপেনারকে হারায় রংপুর। কিন্তু তিনে নামা রিশাদকে নিয়ে খেলা সহজ করে দিতে থাকেন মিম মোসাদ্দেক। দুজনের ৩৫ রানের জুটিতে ম্যাচ চলে আসে নাগালে। রিশাদ ২০ করে আউট হওয়ার পর সাকিবের পেসে তানভির হায়দারকেও দ্রুত হারায় রংপুর। অধিনায়ক আকবর নেমে তড়িঘড়ি কাজ সেরে নেওয়ার তালে ছিলেন। ২২ বলে তার ১৮ রানের ইনিংসও থামে সাকিবের বলে। বোলারকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রংপুর অধিনায়ক। আরিফুলকে এক পাশে রেখে বাকি থাকা অল্প রান দ্রুতই তুলে নেন মীম মোসাদ্দেক।
এদিকে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে রাজশাহী বিভাগকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা বিভাগ। তৃতীয় দিন প্রথম সেশনে রাজশাহীর দেওয়া ২৫ রানের লক্ষ্য ৪ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলেছে তারা। ছয় ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে সর্বোচ্চ সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা। দুইটি করে জয়, পরাজয় ও ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত দ্বিতীয় স্থানে রাজশাহী। অন্য ম্যাচের ফলের প্রেক্ষিতে বদলে যেতে পারে তাদের অবস্থান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ