Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ চীন সাগরের কৃত্রিম দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন

| প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক: স্যাটেলাইটে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা যায়, দক্ষিণ চীন সাগরে নির্মিত সাতটি কৃত্রিম দ্বীপের সবগুলোতেই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। এসব দ্বীপে বিমান-বিধ্বংসী ও ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থা স্থাপন করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এশিয়া ম্যারিটাইম ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ (এএমটিআই)-এর বরাত দিয়ে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এএমটিআই জানিয়েছে, গাভেন, হিউজ, জনসন ও কার্টেরন প্রবাল প্রাচীরগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র বসিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের নিরাপত্তা মজবুত করার কাজ করছে চীন। এমনকি ফেরি ক্রস, সুবি ও মিসচিফ প্রবাল প্রাচীরেও এই ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের কাজ করছে চীন। চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে দ্বীপগুলোতে এই ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়। এসব দ্বীপে বিমান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় এয়ারস্ট্রিপও নির্মাণ করা হয়েছে। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, গাভেন ও হিউজ প্রবাল প্রাচীরে বিমান বিধ্বংসী ও ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। সামনে থেকে আসা কোনও বস্তু শনাক্তের জন্য ফেরি ক্রসে বসানো হয়েছে র‌্যাডার। এএমটিআই পরিচালক গ্রেগ পোলিং জানিয়েছে, এই প্রথম জোরের সঙ্গে তারা বলতে পারছেন, সেখানে বিমান-বিধ্বংসী ব্যবস্থা স্থাপন করেছে চীন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তারা ভাবতেও পারেননি, চীনা কর্তৃপক্ষ এতো বড় মাপের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি দক্ষিণ চীন সাগরে বসাতে পারে তারা! এএমটিআই-এর বিবৃতি প্রকাশের পর এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিলিপাইন। তৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র চার্লস হোসে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যদি এই প্রতিবেদন সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে এটি এক উদ্বেগের কারণ। এতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণœ হতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেছেন। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ