মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণ লন্ডনের ক্রিস্টি এবং অ্যালেক্স ছোট্টবেলা থেকেই পরস্পরের বন্ধু। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রূপ নিয়েছে প্রেমে। তারপর দীর্ঘ দশ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছেন তারা। কোল আলো করে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে সন্তান। তবে সেই সুখের সংসার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
কয়েক বছর আগে ক্রিস্টি দেখেন, তার হাতের নিচে ছোট্ট একটা ফোলা অংশ। প্রাথমিক ভাবে অবহেলা করলেও, কিছুদিনের মধ্যেই জানা যায় সেটি টিউমার। সার্জারির মাধ্যমে তা বাদ দেওয়া হলেও ততদিনে শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণরোগ ক্যানসার।
চিকিৎসকেরা আশ্বস্ত করেন, সময় লাগলেও সুস্থ হয়ে উঠবেন ক্রিস্টি। কিন্তু অদৃষ্টের লিখন খণ্ডাবে কে! ধীরে ধীরে অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে তার। প্রেমিকার এমন অবস্থা দেখেই দ্রুত বাগদানের সিদ্ধান্ত নেন অ্যালেক্স। অসুস্থ বান্ধবীকে নিয়েই হাজির হন ডিজনিল্যান্ডে।
পৃথিবী বিখ্যাত এই পার্কে যাওয়া, অন্য অনেকের মতোই স্বপ্ন ছিল ক্রিস্টির। সেকথা জানতেম অ্যালেক্স। তাই দু’জনে মিলে সেখানেই বাগদান সেরে ফেলেন। সেসব মুহূর্তের আবেগঘন ছবি নেটদুনিয়ায় প্রকাশও করেন তারা।
কিন্তু ফেরার পথেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্রিস্টি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, হাতে আর বেশিদিন সময় নেই। নিজের এমন অবস্থার কথা জানতেন ক্রিস্টিও। তাই শেষ ইচ্ছা হিসেবে তিনি বলেন বিয়েটা সেরে ফেলতে চান তিনি।
প্রেমিকার ইচ্ছা মতো মাত্র দশ দিনের মধ্যে গোটা হাসপাতালটাকেই অ্যালেক্স সাজিয়ে ফেলেন রাজকীয় আভিজাত্যে। নিজের ছোট্ট ছেলেকে নিয়েই বিয়ের মঞ্চে পা রাখেন তিনি। চারদিক ফুলের চাদরে মোড়া। সাজানোর বহরে হাসপাতাল পরিণত হয়েছে ডিজনিল্যান্ডে। সময়মতো ভালোয় ভালোয় মিটে যায় বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু তারপরই নেমে আসে দুর্যোগের কালো মেঘ। ক্রিস্টির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সবাইকে কাঁদিয়ে বিয়ের পরদিনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ক্রিস্টি।
অ্যালেক্স শুধুমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে শক্ত রাখেন বলেই জানিয়েছেন। তবে প্রেমিকার শেষ ইচ্ছা তিনি পূরণ করতে পেরেছেন। এতটুকু স্বস্তি নিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেছেন। সূত্র : ডেইলি মেইল, ফ্লিপবোর্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।