মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চলতি মাসেই অবসর নেবেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তার জায়গায় কে নেবেন দায়িত্ব? এই প্রশ্নেই এখন সরগরম গোটা পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতর সূত্রে খবর, পরবর্তী সেনাপ্রধানের দৌড়ে একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মুনির। বর্তমানে পাকিস্তানের সেনা অফিসারদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র তিনি। কিছুদিনের মধ্যে অবসর নেয়ার কথা রয়েছে তার।
পাক সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশের দাবি, গা থেকে সেনার উর্দি চিরতরে খুলে ফেলার আগে বাজওয়ার কুর্সিতে বসতে চান মুনির। সূত্রের খবর, সেনাপ্রধানের পদ পেতে ইতিমধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেনাপ্রধানের পদ পেলে মুনিরের কর্মজীবনের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়বে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম।
পরবর্তী সেনাপ্রধান নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই একপ্রস্ত বৈঠক সেরে ফেলেছে ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেনার সবচেয়ে সিনিয়র অফিসারকেই ওই পদে নিয়োগ করা হবে। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এছাড়াও বৈঠকে যোগ দেন দলের সহ সভাপতি তথা শাহবাজের ভাস্তী মরিয়ম নওয়াজ। তবে ওই বৈঠকে জোটসঙ্গী পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি-র কোনও প্রতিনিধিকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিজ জানান, সংবিধানের নিয়ম মেনেই সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করা হবে।
গত সপ্তাহেই মিছিল নিয়ে লাহোর থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গুলিবিদ্ধ হলেও প্রাণে বেঁচে যান পাকিস্তান তেহেরিক-ই ইনসাফ বা পিটিআই-র চেয়ারম্যান। এর পরই এই হামলার নেপথ্যে তিন জনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইমরান। তার দাবি, হামলার ষড়যন্ত্র ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, অন্তর্দেশীয় মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং পাকিস্তনের গুপ্তচর সংস্থা আইএআই-র শীর্ষ অফিসার মেজর জেনারেল ফয়সল নাসির।
এই ঘটনায় চরম অস্বস্তির মুখে পড়ে পাক সরকার। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই অবস্থায় আইএআই-র উপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এমন কাউকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করতে পারে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশের দাবি, সেই জায়গায় লড়াইতে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জ হামিদ। আইএআই-র বর্তমান ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আঞ্জুমের আগে ওই পদে ছিলেন তিনি।
তবে সেনাপ্রধান নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন ইমরান খান। সিনিয়রিটির বদলে, যোগ্যতা মান দেখে সেনাপ্রধান নিয়োগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।