মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘পাহাড়ের ভূত’-র ছবি চাই! কাঁধে ক্যামেরা ঝুলিয়ে হিমালয়ের পথে পাড়ি জমালেন এক মার্কিন তরুণী। তুষার ঢাকা ‘অন্নপূর্ণা’-র পথে ট্রেকিং করলেন প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার। পায়ে হেঁটে পৌঁছে গেলেন সাড়ে ৭ হাজার ফুট উচ্চতায়। অবশেষে মিলল সাফল্য। যাদের খুঁজছিলেন, তাদের ছবি লেন্সবন্দি করে ফিরলেন তিনি। পরে তা নিজের ইস্টাগ্রাম প্রোফাইলে পোস্টও করেন ওই মার্কিন চিত্রগ্রাহক।
ছবি পোস্টের পাশাপাশি সেখানে লিখেছেন তার ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতার কথাও। ‘পাহাড়ের ভূত’-র পাশাপাশি তুষার শুভ্র হিমালয়ের অপূর্ব সৌন্দর্যও ধরা পড়েছে তার ক্যামেরায়। ভাবছেন কী এই ‘পাহাড়ি ভূত’? আসলে তুষার চিতাবাঘ বা স্নো লেপার্ডের-র ছবি পেতেই এতোটা কষ্ট করেছেন ওই মার্কিন তরুণী। যাদের ‘ঘোস্ট অব দ্য মাউন্টেন’ বলেই ডাকতে পছন্দ করেন পশুপ্রেমীদের একাংশ।
মার্কিন চিত্রগ্রাহক কিটিয়া পাওলোস্কি বন্যপ্রাণের ছবি তোলার জন্য বিখ্যাত। সম্প্রতি স্নো লেপার্ডকে লেন্সবন্দি করার পরিকল্পনা করেন তিনি। সেই কারণেই নেপাল দিয়ে হিমালয়ের অন্যতম উঁচু শৃঙ্গ ‘অন্নপূর্ণা’-র পথে পাড়ি দেন তিনি। যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে নিজের পোস্টে কিটিয়া লিখেছেন, “কুম্বু উপত্যকায় পৌঁছনোর পর ঠান্ডায় পুরোপুরি জমে গিয়েছিলাম। কিছুতেই তাঁবুর বাইরে যেতে পারছিলাম না। কিন্তু স্নো লেপার্ডের ছবি পেতেই হবে। তাই টেলি লেন্স নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। মাউন্ট পুমোরির দিকে তাক করে লেন্সে চোখ রাখতেই একটা ছায়াকে সরে যেতে দেখেছিলাম। তখনই বুঝতে পারি ওখানেই আছে স্নো লেপার্ড।” তবে ছবি পেতে আরও কিছুদিন তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল বলে ইনস্টাগ্রামের পোস্টে লিখেছেন কিটিয়া পাওলোস্কি।
স্নো লেপার্ডের মাত্র ৫টি ছবি সোশাল মিডিয়ার সাইটে পোস্ট করেছেন কিটিয়া। প্রথম ছবিতে তুষার চিতাবাঘটি অনেক দূরে থাকায় সেটিকে খুব ভালভাবে লেন্সবন্দি করতে পারেননি কিটিয়া। কিন্তু দ্বিতীয়বার আর ছবি মিস করেননি তিনি। ওই সময় একটি পাথরের উপর বসে রোদ পোহাচ্ছিল স্নো লেপার্ডটি। কিটিয়ার ক্যামেরায় স্নো লেপার্ড ও তার পিছনের তুষারে ঢাকা হিমালয়ের ছবি এক অন্য মাত্রা পেয়েছে।
তুষার চিতার ছবি পাওয়া এমনিতেই খুব দুঃসাধ্য। হিমালয়ের সুউচ্চ এলাকাতেই একমাত্র অস্তিত্ব রয়েছে এই প্রাণীর। তা ছাড়া স্নো লেপার্ডের গায়ের রঙের সঙ্গে হিমালয়ের ওই এলাকার মিল থাকায় এগুলিকে চিহ্নিত করা খুব কঠিন। তবে বর্তমানে স্নো লেপার্ডের সংখ্যা কমছে বলে জানিয়েছেন পশুপ্রেমীদের একাংশ। ২০৪০-র মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ তুষার চিতা কমে যাবে বলে দাবি করেছেন তারা। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।