গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রিজার্ভের টাকা নাকি সব চুরি হয়ে গেছে ! এমন প্রশ্ন ছুঁড়েই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বললেন, " আমরা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতা আসি তার আগে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বিএনপি ছিল। তখন রিজার্ভ ছিল ২ দশমিক ৬ বা ৯ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন রিজার্ভ ৫ বিলিয়ন ছিল। এই ৫ বিলিয়ন রিজার্ভ থেকে আমরা প্রায় ৪৮ বিলিয়নের কাছাকাছি উঠাতে সক্ষম হই।"
ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ আদম তমিজী হক এক নিবন্ধে এসব কথা লিখেন। তার নিবন্ধটি তুলে ধরা হল:
প্রধানমন্ত্রী ব্যাখা দিয়ে বলেছেন যে, " রিজার্ভের টাকা তো সব সময় খরচ হতে থাকে, এটা রোলিং করে। কারণ, করোনার সময় যোগাযোগ বন্ধ, আমদানি রপ্তানি বন্ধ ছিল , যেতেও পারে না, আসতেই পারে না। এই অবস্থা ছিল কোন আমদানি হয়নি, এই কারণেই রিজার্ভ প্রত্যাশার চেয়ে বেড়ে যায়, জমা হয়ে। যখন করোনা শেষ হয়ে যায় তখন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, ইন্ডাস্ট্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে এমনকি চাষবাদের জন্য যে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনে নিয়ে আসা, সেগুলোর জন্য আমাদের টাকা খরচ করতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা আমরা যে ভ্যাকসিন কিনে আনছি, দেখছেন যখন তৈরি হচ্ছে তখনই আমি ১২শ কোটি টাকা জমা দিয়ে দিয়েছি। ওই পরিক্রমা সফল হয়, আমি আগে নেবো, আমার দেশের মানুষকে বাঁচাব। শুধু ভ্যাকসিন দিলে তো হয় না ভ্যাকসিন দিতে সিরিয়াল লাগে, অনেক কিছুই লাগে। প্লেন পাঠিয়ে পাঠিয়ে বিদেশ থেকে আনিয়েছি। তাতে টাকা খরচ হয়নি ? টাকা তো খরচ করতে হয়েছে এভাবে। কিন্তু আমরা এ টাকা ব্যবহার করেছি মানুষের কল্যাণে।"
মানুষের জন্যই ব্যয়, তা প্রমাণ করে শেখ হাসিনাই দীপ্ত উচ্চারণে থেকে বলতে পারেন, দেশ এগোচ্ছে। একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হয়ে সোমবার ১৪ নভেম্বর বললেন, "করোনা যেতে না যেতে শুরু হলো ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ তারপরে স্যাংশন। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম সারাবিশ্বে বেড়ে গেছে। চাল, গম, জ্বালানি, ভোজ্যতেল সবকিছুর দাম এমনভাবে বেড়ে গেছে শুধু জিনিসের দাম বেড়েছে তা নয় তার সাথে পরিবহন খরচ, ২০০ ডলারে আমরা যে গম কিনতাম সেটা এখন ৫০০ ডলারে কিনতে হয়। কিন্তু আমরা তো আমাদের দেশের মানুষের কষ্ট দিতে পারি না। যেখানে যত দাম লাগুক আমরা কিন্তু কিনে নিয়ে আসছি, মানুষকে দিচ্ছি। ৫০ লাখ মানুষ মাত্র ১৫ টাকায় আমরা তাদের চাল সরবরাহ করছি আর যারা একেবারেই অপারক তাদেরকে তো বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি। বিনামূল্যে ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছি। ৮ বিলিয়ন ডলার আমরা আলাদাভাবে বিনিয়োগ করেছি। আধুনিক বিমান আমরা করাই করেছি। এখানে কিন্তু আমরা আমাদের টাকায় রিজার্ভের টাকা দিয়েই করেছি, অন্যের টাকা কিন্তু ধার নিইনি। কারণ সেখানে ধান নিলে সুদসহ শোধ দিতে হতো । আমাদের রপ্তানি সেখানেও আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি। রপ্তানি থেকে আমাদের লোকই লাভবান হচ্ছে। এভাবে আমরা ৮ বিলিয়ন খরচ করেছি এবং এখন যেমন অতি বেশি মূল্য দিয়ে তেল, গ্যাস কিনতে হচ্ছে। ভোজ্য তেল জ্বালানি তেল গম, ভুট্টা সবই আনতে হচ্ছে। টাকা নিয়ে বসে থাকলে তো হবে না। এখানে আমার দেশের মানুষের জন্য খরচ করতে হবে।"
শেখ হসিনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন যে, আপনাদের অনেকেই বলেন যে রিজার্ভ গেল কোথায়? তাদের জন্য বলতে চাই বিএনপির নেতা তারেক জিয়া সাজা হয়েছে কেন----- কারণ তার অর্থ পাচার মামলায় সাজা হয়েছে। আর এই অর্থ পাচার মামলা কিন্তু আমাদের আবিষ্কার না এটা করেছে আমেরিকা। এফবিআই বাংলাদেশে এসে তার নামে সাক্ষী নিয়ে গেছেন এবং সেই মানিলন্ডারিং কেসে তার সাত বছরের সাজা এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা হয়। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলা, একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সাজাপ্রাপ্ত আসামি সে। আসামি একটি দলের নেতা হয় কী করে ? আপনাদের মনে রাখতে হবে আমার মা-বাবা ভাই সব হত্যার সঙ্গে জিয়া জড়িত, এটাই স্পষ্ট। গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানসহ আমাদের নেতাকর্মীর হত্যায় তারেক, খালেদা জিয়া সব জড়িত। আমরা কিন্তু মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিতে যাইনি। বেগম জিয়ার ছেলে কোকো যে টাকা পাচার করেছিল, কোকোর টাকা কিন্তু আমরা কিছু অংশ ফেরত আনতে পেরেছি। তারেক আর কত টাকা পাচার করেছে, কোকো মারা গেছে, তারেকের সাজা হয়েছে, তারাই আবার অর্থ পাচারের কথা বলে কোনো মুখে। বেগম জিয়াকে তার বাড়িতে থাকতে দিয়েছি কারণ আমরা তো তাদের মতো অত ছোট মন নিয়ে আসিনি।"
প্রধানমন্ত্রী পুনরায় রাজনৈতিক- অর্থনৈতিক ও সামাজিক বক্তব্য প্রদান করে নিন্দুকের মুখ বন্ধে অর্থবহ উদ্যোক্তা হয়ে কথা বলেছেন। সত্যটা বলতে পেরেছেন। সত্যটা ধারণও করে বাংলাদেশের জনশ্রেণি। সে কারণেই আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে দেশের সেবায় রয়েছে, যার ধারাবাহিকতা থাকবে বলে মনে করার সুযোগও আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।