Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গবেষকরা জানালেন, জ্বালানি শেষ হলেই সূর্যের মৃত্যু ঘটবে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ১১:৩৫ এএম

পৃথিবীর জলবায়ু, সমুদ্রস্রোত, ঋতু, গাছপালার সালোক সংশ্লেষণসহ ভৌগোলিক প্রকৃতি ও জীবমণ্ডল— উভয়ই শাসন করে সূর্য। কোনো কারণে যদি এই নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটে, তাহলে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে সৌরজগতের এই বিশেষ গ্রহটিতে, যেখানে প্রাণের বিকাশ ঘটেছে।

সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র সূর্যের উদ্ভব, শক্তির উৎস ও সম্ভাব্য মৃত্যু সম্পর্কে জানতে বহু বছর ধরে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বর্তমানে সৌরজগতের যে স্থানে সূর্যের অবস্থান, একসময় তার কাছাকাছি একটি বড় উজ্জল নক্ষত্রের (সুপারনোভা) অস্তিত্ব ছিল। আজ থেকে ৫০০ কোটি বা তার কিছু বেশি সময় আগে সেই সুপারনোভার অভ্যন্তরে প্রকাণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নক্ষত্রটি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এবং অন্তর্গত বস্তুকণা ও গ্যাসীয় পদার্থ মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

বস্তুকণা ও গ্যাসীয় উপাদানের অণুগুলোর অন্তর্গত অভিকর্ষ বলের প্রভাবে সেসব পরস্পরের কাছাকাছি আসতে থাকে, সৃষ্টি হয় মহাজাগতিক এক মেঘের। এই প্রক্রিয়াটি শেষ হতে সময় লেগেছিল কয়েক কোটি বছর।

তারও কয়েক কোটি বছর পর ওইসব উপাদান পরস্পরের সঙ্গে আরও কাছাকাছি আসে এবং গ্যাসীয়, বিশেষ করে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম অণুগুলো আলাদা হয়ে এক জায়গায় পুঞ্জিভূত হয়ে সূর্যের আকৃতি নেওয়া শুরু করে। অন্যান্য যেসব বস্তুকণা ও গ্যাসীয় উপাদান ছিল, সেসব থেকে জন্ম হয় পৃথিবীসহ সৌরমণ্ডলের অন্যান্য গ্রহের। এই গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছিল আজ থেকে ৪৫০ কোটি বছর আগে।

বাস্তবে সৌরমণ্ডলের প্রাণ মাঝারি আকৃতির এই নক্ষত্রটির পুরোটাই গ্যাসীয় তরল।

সায়েন্স অ্যালার্ট নামের একটি মার্কিন সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে, আজ থেকে আরও ৫০০ কোটি বছর পর সূর্য পরিণত হবে একটি বিশাল লাল রঙের দানব নক্ষত্রে। সেটি হবে সূর্যের মৃত্যুর প্রাথমিক স্তর। এই স্তরে সূর্যের মধ্যভাগের অংশটি সংকুচিত হয়ে পড়বে এবং বাইরের অংশটি অভিকর্ষ বল হারিয়ে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করবে।

তরল সেই আগ্নেয় পদার্থের স্রোত পৌঁছাবে মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত। এদিক থেকে বলা যায়, সূর্যের মৃত্যুর প্রাথমিক স্তরেই ধ্বংস হয়ে যাবে সৌরমণ্ডলের অন্তত ৪টি গ্রহ— বুধ, শুক্র, পৃথিবী ও মঙ্গল।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার সূর্যের উদ্ভব ও পরিণতি সম্পর্কিত একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিল ২০১৮ সালে। সেই গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ও জ্যোতিপদার্থবিদ অ্যালবার্ট জিজলস্ট্রা এ সম্পর্কে সায়েন্স অ্যালার্টকে বলেন, ‘যখন একটি তারার মৃত্যু ঘটতে থাকে, সে সময় সেটি থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস ও বস্তুকণা নির্গত হয়ে মহাজগতে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যাপারটিকে আমরা বলি খাম (এনভেলপ)।’

‘এই এনভেলপের ভর ওই নক্ষত্রের মোট ভরের অর্ধেকও হয় অনেক ক্ষেত্রে। (এনভেলপ) নির্গত হওয়ার মাধ্যমে নক্ষত্রের অন্তর্গত মূল অংশটি প্রকাশ্যে আসে, যেটি মূলত সেই নক্ষত্রের শক্তির উৎস।’

‘একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর অর্থ হলো, তার জ্বালানির মজুত শেষ হয়ে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার ক্ষয় হতে থাকে এবং এই পথ ধরেই একসময় তার চূড়ান্ত মৃত্যু হয়।’



 

Show all comments
  • Ashiqur rahma ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ১:১৬ পিএম says : 0
    এক সময় বিজ্ঞানীরা বলেছিল: পৃথিবী ধ্বংস হবে না।এখন বলছে সূর্যের মৃত্যু হওয়ার সাথে সাথে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। আসলে বিজ্ঞানীদের যে সকল থিওরি কোরআন হাদিস বিরোধী হয় সেটি ২০০ বছরের বেশি টিকে না তার প্রমাণ তাদের এই নতুন গবেষণা থেকেও পাওয়া যায়।এখন তারা গবেষণা করে বলছে সূর্যের মৃত্যু হবে,সূর্য জ্বালানির মাধ্যমে চলে, জ্বালানি শেষ হলে সূর্যের মৃত্যু ঘটবে। এই থিওরিটা সম্পূর্ণ কোরআন হাদিস বিরোধী।হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার পর হাশরের মাঠে সূর্য মানুষের মাথার উপর থাকবে। তাই তাদের এই নবথিউরি ২০০ বছর নয় বরং সর্বোচ্চ 20 বছর টিকবে।
    Total Reply(0) Reply
  • নুর মোহাম্মদ ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ১:১৮ পিএম says : 0
    লেখাটা পড়ে আশ্চর্য হলাম কতই মহান আল্লাহ কতনা রহ্স
    Total Reply(0) Reply
  • মুহাম্মদ আছাদুজ্জামান ১৬ নভেম্বর, ২০২২, ২:১৬ পিএম says : 0
    ভুল গবেষণা
    Total Reply(0) Reply
  • Arafat ১৬ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩৮ পিএম says : 0
    এই গবেষণার দ্বারা আপনাদের প্রাথমিক ধারণাও হয় নাই
    Total Reply(0) Reply
  • ismail hossain raju ১৬ নভেম্বর, ২০২২, ৭:০৭ পিএম says : 0
    আল্লাহ চাইলে সত্যকে ধ্বংস করে হাশরের মাঠের জন্য আবার সৃষ্টি করতে পারবে। যেমন মানুষ কে মাটির সাথে মিশিয়ে হারের মাঠের জন্য আবার সৃষ্টি করবেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ