Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ির ছাদে টাওয়ার নির্মাণের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করতো চক্রটি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২২, ৭:০৪ পিএম

বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকদের টার্গেট করত একটি চক্র। এরপর তাদের বিল্ডিংয়ের ছাদে মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে বলে জানায়। এর জন্য প্রথম ধাপে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা দেয়ার অফার দিয়ে অফিসে ডেকে নিত। এরপর আরও লাভজনক অফার দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিত। মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের নামে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রাজধানীর পল্লবী থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের নাম আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিন ওরফে আমিনুর, ছদ্মনাম জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বাদল (৪২)।

এ সময় উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন ধরনের চুক্তিপত্রের কপি। শনিবার রাজধানীর ৬০ ফিট পিবিআই উত্তর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এর আগেও প্রতারণার অভিযোগ পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আমিন। জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও প্রতারণা শুরু করেন তিনি।

পুলিশ সুপার বলেন, প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে জানাতে গিয়ে পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকদের তারা প্রথমত টার্গেট করে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায় তাদের বিল্ডিংয়ের ছাদে মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। প্রথম ধাপে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা দেয়া হবে এবং মাসে মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দেয়া হবে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই প্রলোভনে ফেলে পরবর্তীতে প্রতারক চক্রটি ভিকটিমদের তাদের অফিসে ডেকে নিয়ে আসে। অফিসে ডেকে আনার পর পরবর্তীতে আরও লাভজনক প্রজেক্ট সম্পর্কে জানায়। বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে তাদের ব্যবসা রয়েছে, এখানে জমি কিনবে এবং ফ্যাক্টরি করবে বলে জানায়। অন্য জমি যদি দিতে না পারেন তাহলে তাদের নিজস্ব জমি রয়েছে সেখানে ইনভেস্ট করলে ব্যাপক লাভ হবে এ প্রলোভন দেখায়।

পিবিআই এর এই কর্মকর্তা বলেন, এমনই এক প্রলোভন ফেলে সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে ১৫ লাখ টাকা। ব্যাংকে রাখা পেনশনের ২৫ লাখ টাকার মধ্যে ১৫ লাখ টাকা প্রলোভনের পরে প্রতারক চক্রের হাতে তুলে দেন তিনি।

তিনি বলেন, সেই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে এসব বিষয়টি যেন বাইরে কাউকে না জানান এজন্য কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে শপথ নেয়ার জন্য বলে। তিনি অস্বীকৃতি জানালে এ সময় প্রতারক চক্রের চার-পাঁচ জন মিলে একটি পানির গ্লাসে একসঙ্গে হাত চুবিয়ে শপথ করার জন্য বলে। পরবর্তীতে সবাই পানি রাখা গ্লাসে আঙুল ভিজিয়ে শপথ করে যেন এ বিষয়টি কাউকে না জানানো হয়। তবে পরে ঘটনাটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে।

পিবিআই বলছে, এই চক্রের সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ