মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের ফিরছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ? প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাজেয়াপ্ত পাসপোর্ট বর্তমান সরকার ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে, এই জল্পনার নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইমরান খান সরকারের আমলে নওয়াজ শরিফের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। গত এপ্রিল মাসে ভাই শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই বড়ভাই নওয়াজ শরিফকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপর হন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর পাসপোর্ট পাঁচ বছরের জন্য পুনর্নবীকরণ করছে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এই পুনর্নবীকরণের সঙ্গে সঙ্গে বড়ভাইকে দেশে ফেরাতে বর্তমান পাক প্রধানমন্ত্রীর সেই চেষ্টা সফল হল বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে কূটনৈতিক পাসপোর্ট ইস্যু করা নতুন কিছু নয়। কারণ, পাকিস্তানের আইনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকার অধিকার নিশ্চিত করা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে শেষ হয়ে যায় নওয়াজ শরিফের পাসপোর্টের মেয়াদ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য পাকিস্তানে আসতে পারবেন একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নওয়াজ শরিফ। পাকিস্তানে শুধু থাকতে পারবেন তা নয়, এই পাসপোর্টের সাহায্যে অন্য দেশেও ভ্রমণ করতে পারবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে বড়ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনার করতে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। সেই বৈঠকে পাকিস্তানে নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ নভেম্বর। সেনাপ্রধানের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তার মধ্যে দেশের ফেরার জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ, ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পানামা নথি ফাঁসের পর ২০১৭ সালে দুর্নীতি এবং আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন মামলায় নওয়াজ শরিফকে দোষী সাব্যস্ত করে পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন আদালত। শাস্তি হিসেবে আদালত প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর ১০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পাক সুপ্রিম কোর্টেও দ্বারস্থ হন নওয়াজ। কিন্তু বিশেষ আদালতের রায়কেই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য চার সপ্তাহে লন্ডনে যাওয়ার জন্য শরিফের আবেদন মঞ্জুর করে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু লন্ডনে যাওয়ার পর আর দেশে ফেরেননি পাকিস্তান মুসলিম লিগ প্রধান। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।