পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শত শত হাতী, ঢোল-তবলা, রঙ-বেরঙের গাড়ী আর লাল-সবুজের পতাকা এবং হাতে হাতে নৌকা আর লগি-বৈঠা নিয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ জাঁকজমক বর্ণাঢ্য বিজয়র্যালি করবে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। রাজধানীতে এ বিজয়র্যালি শুরু হবে আজ বেলা ৩টায়। পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিজয় র্যালিটি শুরু হয়ে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে তা শেষ হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান। তবে মহান বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আজকে র্যালিকে বিশাল শোডাউন বলে মনে করছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, আজ ১৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বিজয় র্যালির আয়োজন ও বড় ধরনের শোডাউন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গতকাল আওয়ামী লীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজয় র্যালির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর অন্তর্গত সকল থানা শাখা আওয়ামী লীগের নেতা ও জাতীয় সংসদ সদস্যগণ নিজ নিজ এলাকা থেকে বিজয় র্যালি সহকারে পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হবেন ও সেখানে স্থাপিত শিখা চিরন্তনে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর অভিমুখে বিজয় মিছিল যাবে।
শাহে আলম মুরাদ জানান, আজকের বিজয় র্যালিতে লাখো জনতার ঢলের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধীদের জানিয়ে দেয়া হবে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। তারা দেশের অব্যাহত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আবারো আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে বদ্ধপরিকর।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয় র্যালিতে দেশবাসী অংশ নিতে ইতিমধ্যে রঙ আর তুলির আঁচড়ে হাতী আর গোড়ার গাড়ী এবং ছোট-বড় গাড়ীতে নানা ধরনের পোস্টার-প্ল্যাকার্ড দিয়ে নৌকার ছক আঁকছে।
আওয়ামী লীগের বিজয় র্যালি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হবে। এই বিজয় র্যালিকে সফল করতে গত কয়েকদিন ধরেই বর্ধিতসভা করে আসছে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো। এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ৭টি সহযোগী সংগঠন এবং ৩টি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন মাঠে কাজ করছে। সহযোগী সংগঠনগুলো হলোÑ আওয়ামী যুব লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলালীগ, আওয়ামী কৃষকলীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আওয়ামী তাঁতী লীগ। ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো হলোÑ ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ। এছাড়াও অন্যান্য সংগঠনগুলো এই বিজয় র্যালিতে অংশ নিতে এরইমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
নৌকা-বৈঠার মিছিল: হাতে হাতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা আর লগি-বৈঠার মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠবে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার চারপাশের এলাকা। পূর্বনির্ধারিত ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ আয়োজনে বিজয় র্যালিরস্থল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, মৎস্য ভবন ও মুক্তাঙ্গন, প্রেসক্লাব-শাহবাগ এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকবে। এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্না জানান, শুক্রবার বাদ জুমার নামাজের আগে ঢাকা-৫ আসনের নির্বাচনী এলাকার সকল নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছেÑ তারা প্রত্যেকে ২টার মধ্যে ঐতিহাসিক মুক্তাঙ্গনে উপস্থিত থাকবে। মুক্তাঙ্গন থেকে প্রায় ৬ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে একসঙ্গে সারিবদ্ধভাবে আমরা বিজয় র্যালি নিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত থাকবো। একইকথা জানান, ৪৮ নাম্বার ওয়ার্ড কমিশনার আবুল কালাম অনু। তিনি জানান, বিজয় র্যালিতে যোগ দিতে আসা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নানা ধরনের সেøাগান দিয়ে বিজয়ের গানও সুরে সুরে গাইতে গাইতে সারিবদ্ধভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হবে।
একইভাবে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের প্রতিটি থানা-ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের একহাতে নৌকা আবার অন্যহাতে বৈঠা নিয়ে মিছিলে মিছিলে সরগরম করে তুলবে গোটা রাজধানী। তাদের হাতে ও কাঁধে নানা রঙ-বেরঙের প্লাকার্ড ও বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র দিয়ে এসব লগি-বৈঠা ও নৌকা তৈরি করা হয়েছে বলে বেশ কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিজয় র্যালি সফল করতে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গোড়ার গাড়ী আর ঢোল-তবলা, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বিজয় উদ্যাপন করবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ্ মনি এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সুজাউল করিম চৌধুরী বাবুল। তারা বলেন, ঐবিজয় র্যালিই প্রমাণ হবেÑ এ দেশের মানুষ শান্তি চায়, উন্নয়ন চায় এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চায়।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, দেশের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য আওয়ামী লীগ আবারো সংরক্ষণের জন্যই এই সমাবেশের আয়োজন করেছেন। তারা বলছেন, এখন আর আগের মতো পাল তোলা নৌকা আর দেখা যায় না বললেই চলে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আবারো সমাবেশে এ ধরনের নৌকা-বৈঠা নিয়ে বিজয় র্যালি করলে অনেকটাই সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।