মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জি-২০ সম্মেলনের সময়েই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী ১৪ নভেম্বর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা হবে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে এই দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে প্রভাব ফেলে, বৈঠকে উঠে আসবে সেই বিষয়গুলিও। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে এই বৈঠকের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী তাইওয়ানে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফর নিয়ে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট ছিল চীন। এমন পরিস্থিতিতে বাইডেন ও জিনপিংয়ের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কেরিন জাঁ-পিয়ের বলেছেন, চীন ও আমেরিকার মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলা ও দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আলোচনায় বসবেন দুই রাষ্ট্রনেতা। দুই দেশের মধ্যে সঙ্ঘাত থাকলেও কীভাবে তাকে সুস্থ প্রতিযোগিতার মতো করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হবে। তাছাড়া এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে ব্যাপক প্রভাব পড়ে, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে উঠে আসবে সেই প্রসঙ্গও।
হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করবেন বাইডেন ও জিনপিং। তবে এই বৈঠক নিয়ে চীনের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। কিছুদিন আগেই রেকর্ড গড়ে তৃতীয়বারের জন্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং। দেশের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সঙ্গে চীনের সেনার সর্বাধিনায়কের পদেও রয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিককালে লালফৌজকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জিনপিং। ২০২৭ সালের মধ্যে মার্কিন সেনার সমকক্ষ হয়ে উঠবে লালফৌজ, এমন লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এমন পদক্ষেপের পরে অনেকেই মনে করেছিলেন, তবে কি তাইওয়ানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধের পথে হাঁটছে চীন? সেই জল্পনার মধ্যেই বৈঠকে বসতে চলেছেন বাইডেন ও জিনপিং। তাইওয়ান প্রসঙ্গ নিয়ে কী আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিকমহল। অন্যদিকে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, দেশের প্রতিনিধি হিসাবে এই সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ইউক্রেনে হামলা চালানোর শাস্তি হিসাবে পুতিন ও রাশিয়াকে এই সম্মেলন থেকে বয়কট করা হোক, আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়াকে এ দাবিতে বারবার চাপ দিয়েছে পশ্চিমি রাষ্ট্রগুলো। তবে সশরীরে না থাকলেও ভারচুয়ালি একটি বৈঠকে যোগ দেবেন পুতিন। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।