নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রশ্নটা আগের দিন বিকেল থেকেই উঠছে। আইসিসির প্রতিটি টুর্নামেন্টে, সেটি ওয়ানডে বিশ্বকাপই হোক কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ- ২০১১ সালের পর সাদা বলে ভারতের ইতিহাস তো প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ারই ইতিহাস। ২০১১ বিশ্বকাপে মুম্বাইয়ের সেই উদযাপনের রাতটি যে গত এক দশকে আর কখনোই ফেরেনি ভারতীয় ক্রিকেটে।
এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। ভারত অনেক বছর ধরেই বিশ্ব ক্রিকেটের বড় শক্তি। আইপিএলের কল্যাণে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সমৃদ্ধ দলের তকমাটা ভারতেরই। বিশ্বসেরা ব্যাটিং, দুর্দান্ত বোলিং- কী নেই এই দলে! কিন্তু ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ছাড়া এই দলের অর্জনের ভাঁড়ার শূন্য। ২০১১ সালের পর ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দৌড় সেমিফাইনাল। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি। বাকি আসরগুলোয় হয় সেমি থেকে বিদায়, নয়তো তার আগেই। প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার যে গল্পটা চিরদিন দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে লেপ্টে আছে, সেটি এখন ভারতের পাশে বসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা যেমন বড় আসরে চিরদিনই ব্যর্থ, ভারতও তো সেই পথেই হাঁটছে।
সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভনও তা-ই ভাবছেন। ভনের প্রশ্ন, ২০১১ সালের পর সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের অর্জন কী? অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে লেখা কলামে এই প্রশ্ন করেন ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক। তার মতে, ভারতীয় দলে টি-টোয়েন্টির সেরা ক্রিকেটাররা খেললেও পারফর্ম করার প্রক্রিয়াটা ঠিক নেই। ভন লিখেছেন, ‘ভারত সাদা বলের ক্রিকেট খেলছে বহু বছর ধরে। কিন্তু ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার পর সাদা বলে ভারতের অর্জন কী? তাদের দলে টি-টোয়েন্টির যে প্রতিভা রয়েছে, আর তাদের নিয়ে ভারত যা খেলছে, দেখে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি। তাদের যথেষ্ট ভালো ক্রিকেটার আছে, কিন্তু সেই ক্রিকেটারদের পারফর্ম করার প্রক্রিয়াটা ঠিক নেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাঠে নেমেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মারা শুরু করা উচিত। তারা কেন যেন প্রথম ৫ ওভার প্রতিপক্ষের বোলারদের সুযোগ করে দেয়।’
এমন দল নিয়ে ভারতের অর্জন আরও বেশি হওয়া উচিত বলে মনে করেন ভন, ‘আমার তো মনে হয় তাদের যে সুযোগ-সুবিধা, তা নিয়ে তাদের অর্জন কিংবা সাফল্য আরও বেশি হওয়া উচিত। প্রতিভা অনুযায়ী ভারতের প্রাপ্তি নেই বললেই চলে।’ ভারতীয় ক্রিকেট সমালোচকদের সহ্য করতে পারে না, এক যুগ ধরে তাদের যাবতীয় অপ্রাপ্তির এটিও অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের সমালোচনা করতে লোকে ভয় পায়। কারণ, তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপমাণিত হতে হয়। সাবেক ক্রিকেটাররা দলের সমালোচনা করে না ভারতীয় ক্রিকেটে চাকরি করতে না পারার ভয়ে।’
মাইকেল ভনের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন আরেক সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেইনও। ডেইলি মেইলে লেখা কলামে তিনি সমালোচনা করেছেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের, ‘আমি আমার বিভিন্ন লেখায় আগেও বলেছি। আমার কাছে মনে হয়, ভারতীয় দলের টপ অর্ডার যে ব্যাটিংটা করছে, সেটি পুরোনো আমলের ব্যাটিং। এটি কেবল আমার কথা নয়, ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রীও এর থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দলকে।’ ভারতীয় দল কিছুটা ভয়ভীতিতে ভুগেছে বলেও মন্তব্য নাসের হুসেইনের, ‘ভারতের ব্যাটিংয়েও ভয়ভীতির ছোঁয়া ছিল। তাদের মাথায় রাখা উচিত ছিল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের সংগ্রহটা হতে হবে নির্দিষ্ট মানদণ্ডের অনেক ওপরে। সেটি হয়নি। হার্দিক পান্ডিয়া যদি ওই সাহসী ইনিংসটা না খেলত, তাহলে তাদের সংগ্রহ হতো অনেক কম।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।