মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের কর্নাটক রাজ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় ৯৪.৮৮% নাম্বার পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন চির তরুণ নারায়ন ভাট (৭০)। তিনি গোটা রাজ্যে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রথম হন। তার কথা, পড়াকে ভালোবাসি বলেই পরীক্ষায় বসেছিলাম। কিন্তু এত ভালো ফল আশা করিনি।
১৯৭০ সালে নারায়ণ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করেন। এরপর কর্নাটক এবং গুজরাটে কাজ করেন। কর্মজীবনে মেকানিক্যাল ও সিভিল দুই বিভাগেরই দায়িত্ব পালন করেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে তার দক্ষতার কারণে পেশায় বেশ সুনামও অর্জন করেন। কিন্তু তার ডিপ্লোমা ছিল মেকানিক্যালে।
নারায়নের মনের মধ্যে সব সময়ই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েও পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল। ঠিক করেন, আজ না হোক, অবসরের পরেই এই স্বপ্ন পূরণ করবেন। তিনি ২০১৯ সালে আরএন শেঠি পলিটেকনিক কলেজে বিশেষ বিভাগের অধীনে ভর্তি হন।
এরপরেই সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। একের পর এক সেমিস্টারের পরীক্ষা হয়। আর তাতে দেখা যায়, প্রতিবারই পরীক্ষায় প্রথম স্থান একজনেরই- নারায়ণ ভাট! ফলে কলেজে তার নাম ছড়াতে বেশি সময় লাগেনি।
গত ২ নভেম্বর আরএন শেঠি পলিটেকনিক কলেজে নারায়ন ভাট নিজের মার্কশিট নিতে যান। কলেজের সবার উষ্ণ অভ্যর্থনায় অভিভূত হয়ে যান নারায়ণ। চাকরি জীবন শেষে অবসর জীবন। এই বয়সে সবাই অবসর সময় কাটান। খুব একটা মাথাব্যাথার কাজে নামেন না সাধারণত। কিন্তু আবার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কারণ কী?
এর উত্তরে সাংবাদিকদের আবেগঘন গলায় তিনি বলেন, আমার বিষয়গুলো জানা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র একটি সইয়ের জন্য অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর সেই কারণেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ে নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণ করলাম। তার এমন কৃতিত্ব অনেকের অনুপ্রেরণার কারণ হবে বলে আশা করছেন তার শুভানুধ্যায়ীরা। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।