মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিকল্প ওষুধ ব্যবসায় মনোনিবেশ করার জন্য রাজদায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন নরওয়ের রাজকুমারী মার্থা লুইস। তিনি হবু স্বামী ডুরেক ভেরেটের সঙ্গে যৌথভাবে এই ব্যবসার কাজে মন দিতে চান। ডুরেক একজন স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু (শামন)। রাজকুমারী মার্থা তার রাজ-উপাধি রেখেছেন। শুধু ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা করবেন বলে রাজদায়িত্ব ত্যাগ করেছেন। তার হবু স্বামী ডুরেক ক্যানসারসহ চিকিৎসাক্ষেত্রের নানা বিষয় নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। নরওয়ের রয়্যাল হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজকুমারী মার্থা লুইস বিকল্প ওষুধ ব্যবসায় মনোনিবেশ করবেন। এ কারণে রাজপরিবারের সরকারি দায়িত্ব ও তার ব্যক্তিগত দায়িত্বের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করতে মার্থা রাজদায়িত্ব ত্যাগ করেছেন। তবে রাজা পঞ্চম হ্যারল্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্থার রাজ–উপাধি আগের মতোই থাকবে। এর আগে মার্থা যত্নের সঙ্গে তার রাজদায়িত্ব পালন করেছেন। মার্থার হবু স্বামী ডুরেককে একজন দুর্দান্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে রাজা পঞ্চম হ্যারল্ড বলেছেন, তার সঙ্গে থাকা খুব আনন্দের। রাজা বলেন, ‘তার ভেতরে হাস্যরস আছে। এই কঠিন সময়েও তার কারণে আমরা মনখুলে হাসতে পেরেছি। আমার ধারণা, তার সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়াটা দারুণ হয়েছে। যেকোনো বিষয়ে আমরা তার সঙ্গে সহজেই দ্বিমত বা সম্মতি পোষণ করতে পেরেছি।’ আরেকটি বিবৃতিতে রাজকুমারী মার্থা বলেন, তিনি গবেষণাভিত্তিক জ্ঞানের গুরুত্বের বিষয়ে বেশ সচেতন। তিনি বিশ্বাস করেন, তার বিকল্প ওষুধ প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থায় সহায়তা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিপূরক হয়ে উঠবে। রাজকুমারী বলেন, একজন আলাদা ব্যক্তি ও রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে নিজের মধ্যে পার্থক্য করা খুব জরুরি ছিল। ৫১ বছর বয়সী রাজকুমারী মার্থা কয়েক দশক ধরে বিকল্প চিকিৎসাব্যবস্থায় জড়িত থেকে নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে মানুষকে ‘তাদের দেবদূতের সঙ্গে যোগাযোগ’ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও ছিল। তার বিরুদ্ধে রাজ-উপাধি ব্যবহার করে নানা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগও আছে। ২০০২ সালে নরওয়েজিয়ান লেখক ও শিল্পী আরি বেহনকে বিয়ে করেন রাজকুমারী মার্থা। এই দম্পতির তিন কন্যাসন্তান আছে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।