Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাজীব গান্ধীর ছয় ঘাতককে মুক্তি দিলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নলিনী শ্রীহরন ও অন্য পাঁচ আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এই আসামিদের মুক্তির আদেশ দিয়েছে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। আদেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর সরকার এর আগে রাজ্যপালের কাছে তাদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল বলে জানিয়েছে। এর আগে, গত মে মাসে এই হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরেক আসামি এ জি পেরারিভালানকে মুক্তি দেয় দেশটির সুপ্রিম কোট। রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নলিনী ছাড়াও অন্য যে আসামিরা মুক্তি পেয়েছেন তারা হলেন, নলিনী শ্রীহরন, সান্থান, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং রবিচন্দ্রন। ভারতের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বি ভি নাগারথনারের বেঞ্চ বলেছেন, মামলার অন্যতম দোষী এ জি পেরারিভালানের মতো শীর্ষ আদালতের রায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গত ১৮ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পেরারিভালানের মুক্তির আদেশ দেয়; যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। মুক্তিপ্রাপ্ত ছয় আসামি নলিনী শ্রীহরণ,রবিচন্দ্রন, সান্থান, মুরুগান, এ জি পেরারিভালান ও রবার্ট পায়াসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং তারা ২৩ বছরেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়েছেন। শ্রীহরণ এবং রবিচন্দ্রন গত বছর তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের পর তামিলনাড়ু সাসপেনশন অব সেন্টেন্স রুলস-১৯৮২’র আওতায় রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে প্যারোলে মুক্ত রয়েছেন তারা। ১৯৯১ সালে ২১ মে শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) এক সদস্য তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা করেন। নির্বাচনী সমাবেশ চলাকালীন ধানু নামের ওই আত্মঘাতী হামলাকারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজিব গান্ধীকে হত্যা করেন। ১৯৯৯ সালের মে মাসে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পেরারিভালান, মুরুগান, সান্থান এবং শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। ২০১৪ সালে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় সান্থান এবং মুরুগানের পাশাপাশি পেরারিভালানের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আর ২০০১ সালে কিশোরী মেয়ের লালন-পালনের কথা বিবেচনা করে অপর অভিযুক্ত শ্রীহরনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে দেশটির শীর্ষ এই আদালত। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগাররা রাজীব গান্ধীকে হত্যার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে। এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

Show all comments
  • Mahbub Bhuiya ১২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:২৮ এএম says : 0
    ভারত ধ্বংস করেই বিজেপি খান্ত হবে.
    Total Reply(0) Reply
  • Siddiqua Chowdhury ১২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:২৭ এএম says : 0
    ভারতের বিচার বিভাগ ১৯৪৭ এর পর থেকে বরাবরই স্বাধীন এবং ভাবাবেগের উর্ধে ছিল। দিল্লী কোলকাতা মুম্বাই এলাহাবাদের হাই কোর্ট রুলিং উপমহাদেশে গুরুত্ব সহকারে তেইশ ল’ আকারে বিবেচনা করা হতো। এখন দেখছি তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। খুবই দুঃখজনক।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohaiminul Islam Monayem ১২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:২৬ এএম says : 0
    খুবই দুংখজনক বিজেপি সরকারের হাতে এত সুন্দর ভারত ধ্বংস হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Iqram ১২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:২৭ এএম says : 0
    দুংখ জনক ঘটনা। হত্যাকারিরা উৎসাহিত হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Saidur Rahman Saidur Rahman ১২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:২৭ এএম says : 0
    যেখানেই স্বৈরাচারী সরকার থাকবে সে দেশের বিচার ব্যবস্থা এমনই হবে। হত্যার বিচার না হওয়া দুঃখজনক ঘটনা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ