Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

‘প্রতারক’ তান্ত্রিককে বিয়ে করতে খেতাব-রাজপ্রাসাদ ছাড়লেন রাজকুমারী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২২, ৭:৪৯ পিএম

‘প্রতারক’ তান্ত্রিকের সঙ্গে প্রেম। যার জন্যে রাজপ্রাসাদের আয়েশ আরাম ছাড়ছেন তিনি। ‘শাহি খেতাব’-কে দুচ্ছাই করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন একবস্ত্রে পথে বেরিয়ে পড়ার। রাজকুমারীর এমন জেদ দেখে মাথায় হাত তার পরিবারের সদস্যদের। পাশাপাশি তার এই সিদ্ধান্তের জেরে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে নরওয়ে সরকারও।

রাজকুমারীর সিদ্ধান্ত বদল করার জন্য শাহি-পরিবারের তরফে অবশ্য চেষ্টার কসুর করা হয়নি। প্রথমে বুঝিয়ে-সুজিয়ে মন-বদল করার চেষ্টা করেছিলেন তারা। কিন্তু তাতে কাজ হওয়ায় ‘রাজকুমারী’ খেতাবই কেড়ে নেয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়। তার পরও হেলদোল নেই প্রিন্সেস-র। প্রেমে পাগল রাজকুমারীর সাফ কথা, স্বামীর ঘর করলে ওই তান্ত্রিকের সঙ্গেই করবেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই প্রেমিকের সঙ্গে আংটি বদল করে ফেলেছেন তিনি। কিছু দিনের মধ্যেই রাজপ্রাসাদ ছেড়ে স্বামীর ঘর করতে চলে যাবেন বলে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি।

নরওয়ের রাজকুমারী মার্থা লুইস হারাতে চলেছেন তার শাহি-খেতাব। মঙ্গলবার এই মর্মে বিবৃতি দিয়েছে নরওয়ের রাজপরিবার। সেখানে বলা হয়েছে শুধু খেতাবই নয়, উত্তরাধিকার সূত্রে যে সমস্ত সম্পত্তির মালিকানা মার্থা লুইস পেয়েছিলেন, সেগুলিও তার থেকে কেড়ে নেয়া হল। ডুরেক ভেরেট নামে এক তান্ত্রিকের প্রেমে পড়েছেন রাজকুমারী। তাকেই বিয়ে করতে চলেছেন তিনি। যা রাজপরিবারের ঐতিহ্যের পরিপন্থী। সেই কারণেই রাজকুমারীর সমস্ত খেতাব কেড়ে নেয়া হল বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, তান্ত্রিককে বিয়ে করতে গিয়ে রাজপ্রাসাদ ছাড়লে নিজের শাহি-গয়নাও নিয়ে যেতে পারবেন না মাথা। সেকথাও মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে নরওয়ের রাজপরিবার।

পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মার্থা ও ডুরেকের প্রেম দীর্ঘদিনের। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ পরিবারের অন্দরমহলে শুরু হয়েছিল অশান্তি। মাথার অভিভাবকরা কিছুতেই এটা মেনে নিতে পারেননি। ২০০২-তে মার্থার ‘হার রয়্যাল হাইনেস’ খেতাব কেড়ে নেয় নরওয়ের রাজপরিবার। তারপরও ডুরেককে ছাড়েননি তিনি। উলটে মাঝে মধ্যেই রাজবাড়ি ছেড়ে ডুরেকের বাড়িতে চলে যেতেন তিনি।

অন্যদিকে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ডুরেক ভেরেট পেশায় তাবিজ বিক্রেতা। বংশপরম্পরায় তন্ত্রসাধনা করছে তার পরিবার। ডুরেক ষষ্ঠ প্রজন্মের তান্ত্রিক। ভবিষ্যতবাণী করার জন্য সাধারণত দেড় হাজার ডলার চার্জ করেন তিনি। পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশের দাবি, প্রেমিকের থেকেই তন্ত্রসাধনার পাঠ নিয়েছেন রাজকুমারী মার্থা। কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে মাথা দাবি করেছিলেন, দেবদূতদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি। অন্যদিকে কোভিড ঠেকাতে তার মন্ত্রপূত তাবিজ ম্যাজিকের মতো কাজ করবে বলে ওই সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন ডুরেক। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিল নরওয়ের রাজ পরিবার। সূত্র: সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ