মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাবরী মসজিদ ধ্বংসে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি, উমা ভারতী, মুরলি মনোহর জোশিসহ অভিযুক্তদের কোনও হাত নেই বলে ফের জানিয়ে দিলো এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ২০২০ সালে এক বিশেষ সিবিআই আদালত তাদের এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে ফের আদালতে আবেদন করেছিলেন অযোধ্যার দুই বাসিন্দা। বুধবার সেই মামলা খারিজ করে দিলো এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরী মসজিদ ভাঙা হয়। সেই ঘটনায় লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলিমনোহর জোশি, উমা ভারতী, সাধ্বী ঋতম্ভরা, উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, রাম মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি নৃত্যগোপাল দাস, বিনয় কাটিহারসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বাবরী ধ্বংস মামলায় দুটি মূল এফআইআর দায়ের হয়। প্রথমটি ছিল লাখ লাখ করসেবকদের বিরুদ্ধে, যারা নিজের হাতে মসজিদটি ধ্বংস করেন। দ্বিতীয়টি আদবানি, যোশীদের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে। এই মামলার মোট অভিযুক্ত ছিলেন ৪৮ জন। তবে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালে ১৭ জন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। আদালতে আদবানিদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাবরী মসজিদ ভেঙে ফেলা মোটেই পরিকল্পনামাফিক কাজ নয়। এই কাজে আদবানিদের মোটেই উসকানি ছিল না। করসেবকরা উত্তেজিত হয়ে মসজিদ ভাঙে। সেখানে কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এই মামলার জন্য সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত গঠন করা হয়। আদালত সাফ জানিয়েছিল, মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। করসেবকরা নিজেদের ইচ্ছাতেই আচমকা ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল। এই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে, তা বলার মতো কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। কোনও সংবাদপত্রের কাটিং বা ভিডিও ক্লিপকে প্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য করেনি আদালত। ২০২১ সালে সিবিআইয়ের আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অযোধ্যার বাসিন্দা হাজি মাহাবুব ও সৈয়দ আখলাক। আদালতে আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, বাবরী মসজিদ ধ্বংসের ফলে তারা তাদের ঐতিহাসিক উপাসনাস্থল হারিয়েছিলেন। নিজেদেরকে ওই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী এবং শিকার বলে দাবি করেছিলেন তারা। শুধু তাই নয়, বাবরী মসজিদ ধ্বংসের পর তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবং দুষ্কৃতরা ব্যাপক লুঠপাট চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন তারা। এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।