মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) দিতে গেলে রাজকোষে পড়বে ব্যাপক চাপ। উৎসব আর ঢালাওভাবে রাজ্যবাসীকে একাধিক প্রকল্পের আওতায় আনতে গিয়ে রাজকোষ শ‚ন্য হয়ে পড়েছে। ফলে রাজ্যের আয়ের থেকে ব্যয়ের অঙ্কটা পাহাড় প্রমাণ হয়ে পড়েছে গত কয়েক বছরে। এর মধ্যে ডিএ দিতে গেলে পশ্চিমবঙ্গ চলে যেতে পারে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থার দিকে। আর তাই বকেয়া ডিএ দিতে টালবাহানা করছে রাজ্য সরকার। এমনটাই অভিযোগ করছেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলো বিরোধীরা। এর থেকে পরিত্রাণের রাস্তা কী? তা নিয়ে মাথা ব্যথা বাড়ছে নবান্নর। বিরোধীদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, রাজ্য সরকার ডিএ দিতে চাইছে না। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়াতে তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে সাফ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে গেলে রাজ্যের কোষাগারে ব্যাপক টান পড়বে। যার ফলে রাজ্যের আর্থিক শৃংখলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি সৌগত রায় বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ অর্থ ডিএ দিতে হবে, তা দিতে গেলে রাজ্যের সব উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অর্থের অভাবে ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না সেটা জানা কথা।’ একইভাবে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘সময় হলেই ডিএ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে যেসব প্রকল্প চলছে সেগুলোতে যেভাবে আর্থিক সাহায্য করতে হয়, সে জন্য হয়ত সামান্য একটু অসুবিধা হতে পারে।’ এরই মধ্যে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে সরকার কর্মচারীদের বেতন দিতে পারবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার দাবি, ‘১০ হাজার কোটি রুপি ঋণ চাইছে সরকার। ডিসেম্বরের বেতন যা জানুয়ারিতে হওয়ার কথা তা হবে না। নভেম্বর পর্যন্ত বেতন দেওয়ার ক্ষমতা এই সরকারের আছে।’ শুভেন্দু বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, একক বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা আইন মেনেই নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও সব দিক খতিয়ে দেখবে। রাজ্য সরকার শুধু সময় নষ্ট করছে। কারণ রাজ্য সরকার টাকা দিতে পারবে না। রাজ্য সরকার একেবারে দেউলিয়া হয়ে গেছে।’ অভিযোগ উঠছে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে ডিএ সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু তা না মেনে রাজ্য সরকার দান-খয়রাতি করে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। সরকারি টাকায় একাধিক উৎসব হচ্ছে, পুজোয় ক্লাবগুলোকে সরকারি অনুদান নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। ডিএ নিয়ে আদালতে মামলকারি শ্যামল মিত্র বলেন, ‘রাজ্য সরকার ল²ী ভাÐার, সবুজ সাথীর মতো সামজিক খাতে বিনিয়োগ করবে এটা খুব ভালো। কিন্তু রাজ্য সরকার এই প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে কোনও আয়ের ঊর্ধ্বসীমা রাখছে না। স্বাভাবিক নিয়মেই যারা দারিদ্রসীমার নিচে থাকবে তাদের মূলস্রোতে আনা, সামাজিক ও আর্থিক উত্তোরণের জন্য সামাজিক প্রকল্পে ব্যয় হবে। তা নিয়ে বির্তক নেই। কিন্তু রাজ্য সরকার যেটা করছে, সবাইকে ঢালাও সব দিয়ে দিচ্ছে। স্বাস্থ্য সাথীর ৫ লাখ রুপির বিমার সুযোগ একজন কোটিপতি কেন পাচ্ছেন?’ এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।