ফরিদপুরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উজান মল্লিকপুর গ্রামে অত্যাচার নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ দাবিতে গ্রামবাসী সড়কে বিক্ষোভ করেছেন গ্রামবাসী।
বুধবার (৯ নভেম্বর) মল্লিকপুর বাসস্ট্যান্ড বাজারে এলাকায় এ বিক্ষোভ করা হয়। স্থানীয় প্রবীণ নারী পুরুষ সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক’শ মানুষ এতে অংশ নেন।
অবস্হান বিক্ষোভ থেকে অভিযোগ করা হয়, উজান মল্লিকপুর গ্রামের মানুষ ভূমিদস্যুতা সহ বিভিন্ন অত্যাচার নির্যাতনের শিকার। রাজ্জাক মিজি নামে এক ব্যক্তি জীবদ্দশায় অত্যাচার নির্যাতন করেছেন।
তার মৃত্যুর পর তার পরিবার একইভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
একই গ্রামের মুন্সি মোশাররফ হোসেন। গগনমার্গ কে বলেন, রাজ্জাক মিজি মুক্তিযুদ্ধ না করেও জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম দিয়েছেন। বেঁচে থাকতে অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন মানুষের জায়গা জমি দখল করেছে। গরিব মানুষেরা মামলাও করতে পারেনি। তিনি বলেন, রাজ্জাক মিজি ব্যবসা কিংবা চাকরি কিছুই করতেন না। অথচ তিনি লাখ লাখ টাকার সম্পদ তৈরি করে গেছেন অবৈধ পথে। তার মৃত্যুর পরে তার ছেলে বেলায়েত একই ভাবে মানুষের জমি, সরকারী জমি দখল করে আসছে।
প্রতিবাদ করলেই হামলা মামলা করে হয়রানী করা হয়। তাই এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে অবস্হান বিক্ষোভ করছেন।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জবেদ আলী ফকির বলেন, রাজ্জাক মিজি মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিলেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যান।
এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও জামুকার বরাবর আবেদন করা হয়েছে। তারা আজিজ মিজির সনদ বাতিলের দাবি জানান।
স্থানীয় বাশার মাল জানান, তার জমিতে জোর পূর্বক ঘর তুলছে রাজ্জাক মিজির ছেলে বেলায়েত।
বাধা দিতে গেলে আমাকে হত্যা ও মামলা দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, একজনের মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট তাকে দিয়েছিল গেজেট ভুক্ত করার জন্য, তিনি সেই সার্টিফিকেট দিয়ে নিজের নাম গেজেটভুক্ত করেছেন। এলাকার যে কোন প্রবীণের কাছে প্রশ্ন করলে এই বিষয়ে জানতে পারবেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত রাজ্জাক মিজির সন্তান বেলায়েত মিজি বলেন, যারা যারা অবস্হান করেছে তাদের মধ্যে অনেকে আমার আত্মীয় স্বজনও রয়েছেন। জমিজমা নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ রয়েছে বলেই তারা এসব অভিযোগ করছে। আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং তিনি নিয়মকানুন মেনেই গেজেটভুক্ত হয়েছেন