Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্পকে সতর্ক করল চীনা রাষ্ট্রদূত

জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা দর কষাকষির কোনো বস্তু নয়

| প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব অথবা ভূখন্ডের অখন্ডতা রক্ষার বিষয়ে তারা কখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষি করবে না। এটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে চীনা রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি মার্কিন কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক আলোচনায় চীনা রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। চুই তিয়ানকাই এক চীন নীতির ভিত্তিতে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমাদের মার্কিন-চীন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তিকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। আর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের চলমান সাধারণ নীতি এড়িয়ে না গিয়ে তা মেনে চলতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং ভূখ-ের অখ-তা দর কষাকষির বস্তু নয়। একদমই তা নয়। আশা করি, সকলেই তা অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত  ৪৪ বছরে তাইওয়ানের ব্যাপারে চীনের অবস্থানকে সম্মান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ৪৪ বছরের সেই রীতি ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন-এর সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন ট্রাম্প। ওই টেলিফোন আলাপের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কে অস্বস্তি বাড়তে থাকে। এ ইস্যুতে বেইজিং প্রথম প্রতিক্রিয়ায় একে ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পররাষ্ট্রনৈতিক বোঝাপড়ার অভাব বলে উল্লেখ করে। পরে ট্রাম্পের আরো সমালোচনা হাজির করে চীন। পরে ট্রাম্প এক চীন নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। এর জবাবে চীনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে হুশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, ওই এক চীন নীতিই চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তি।
অপর এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এক চীন নীতিকে চ্যালেঞ্জ করলে এটি তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে চীন। এ ধরনের হস্তক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেও জানিয়েছে বেইজিং। গত বুধবার চীনের তাইওয়ান বিষয়ক নীতি-নির্ধারণী কার্যালয়ের মুখপাত্র অ্যান ফেংশান বলেছেন, এক চীন নীতি বজায় রাখার মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের উন্নয়ন সম্ভব এবং এটিই তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকার মূল ভিত্তি। এক চীন নীতিতে হস্তক্ষেপ বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কের সৌহার্দ্যপূর্ণ অগ্রগতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তিনি বলেন, যদি এই ভিত্তিটিতে হস্তক্ষেপ করা হয় বা এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের কার্যকর ও স্থিতিশীল উন্নয়নের প্রশ্নই উঠে না। একইসঙ্গে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতায় এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।  রয়টার্স, ফক্স নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ