মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পানি সংরক্ষণ কীভাবে করবেন তা বোঝাতে গিয়ে অনেকগুলো বিকল্প রাস্তা সামনে এনেছেন ভারতের এক বিজেপি এমপি। এমনকি পানি বাঁচাতে সবাইকে মদ ও তামাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যদিও তার বলা এসব বিকল্প উপায়ের উপযোগিতা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি সাধারণ মানুষ। কিন্তু তার বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দূরে রেওয়া জেলায় পানি সংরক্ষণ সংক্রান্ত একটি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রেওয়া লোকসভা আসনের বিজেপি এমপি জনার্দন মিশ্র। সেখানেই তাকে বলতে শোনা যায়, ‘মাটি থেকে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অবিলম্বে সতর্ক হতে হবে। পানি বাঁচাতে হবে।’ এরপরই অবশ্য কী ভাবে পানি বাঁচাতে হবে তার পরামর্শ দেন এই সংসদ সদস্য। জনার্দন বলেন, ‘ ... হয় গুটখা খান, নয়তো মদ খান, গাঁজা খান, দরকার হলে থিনার কিংবা আঠা শুঁকুন, এমনকি, আয়োডেক্সও খান কিন্তু দয়া করে পানির গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করুন।’ মঞ্চে দাঁড়িয়ে জনার্দন যখন এই বক্তৃতা করছেন তখন তার ঠিক পেছনেই দেখা যাচ্ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি সম্বলিত খাবার পানীয় সংরক্ষণের জল জীবন প্রকল্পের পোস্টার। ভারতের খাবার পানীয় যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য গত কয়েক বছরে অনেকগুলো জল সংরক্ষণ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মোদি। এমনকি তার সরকার পানীয় সম্পদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয়ও তৈরি করেছে। কোটি কোটি বাড়িতে খাবার পানীয় পৌঁছে দিতেই শুরু হয়েছে জল জীবন প্রকল্প। বস্তুত রোববার মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার কৃষ্ণারাজ কপূর প্রেক্ষাগৃহে এই প্রকল্পেরই একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এই বেফাঁস মন্তব্য করেন বিজেপির এই এমপি। অবশ্য বিজেপির এই সংসদ সদস্য এই প্রথম বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনাম হলেন তা নয়, দিন কয়েক আগেই খালি হাতে শৌচাগার পরিষ্কার করেও একবার শিরোনামে এসেছিলেন জনার্দন। তবে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদির জল সংরক্ষণ প্রকল্পে বক্তৃতা করতে এসে খাবার পানীয় বাঁচাতে মদ্যপান-সহ নানা রকম নেশার পরামর্শ দিলেন তিনি। এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।