বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আগামী ১২ই নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপি'র গণসমাবেশ। সমাবেশ কে কেন্দ্র করে জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উৎসব এবং ফুর ফুরে মেজাজ লক্ষ্য করা গেছে।
পাশাপাশি ১১ ই নভেম্বর,, থেকে ১২ ই নভেম্বর,, পর্যন্ত টানা দুই দিন পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে বৃহত্তর ফরিদপুর সহ আশপাশের তিন চার জেলার বিএনপি নেতা কর্মীরা চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে কারোর মধ্যে আনন্দের। কমতি নাই।
তারপরও বৃহওর ফরিদপুর সহ মানিকগঞ্জ কুষ্টিয়া মাগুরা জেলার বিএনপির সর্ব শ্রেনীর নেতা কর্মীরা ফরিদপুর হাজির হবে বলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাবের সাথে কথা হয় কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ন সম্পাদক প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইউসুফ কন্যা, নায়ক ইউসুফের সাথে, তিনি বলেন আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডে মানুষ এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন আওয়ামীলীগকে বিদায় করার সমাবেশে মানুষ ইচ্ছা করেই পিঁপড়ার সারির মত ছুটে আসবেন বলে আশা করি।
ইনকিলাব প্রতিনিধির সাথে কথা হয়, ফরিদপুর জেলা বিত্রনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছার সাথে তিনি বলেন, যেখানে বাধা সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
ইনকিলাবের সাথে কথা বলেন, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ জুলফিকার হোসেন সোহেল জুয়েল,তিনি বলেন একমাত্র স্বেচ্ছাসেবক দলের বাঁধভাঙ্গা মিছিল দেখলেই ফরিদপুরের আওয়ামীলীগ গর্তে ঢুকবে ইনশাল্লাহ।
এ বিষয়ে ইনকিলাবের সাথে কথা বলেন ফরিদপুর মহনগর যুবদলের সভাপতির বেনজির আহমেদ তাবিজের তিনি জানান সমাবেশে হতে সরকার এবং প্রশাসনের লোক যতই বাধা সৃষ্টি করুক ফরিদপুরের গণসমাবেশে বাদ ভাঙ্গা জনতার ঢল নামবে।
তিনি আর বলেন সমাবেশের বাকি এখনো ৪ দিন ইতিমধ্যেই, ফরিদপুর শহর এবং শহরতলীতে তিন থেকে চার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।
জেলা বিত্রনপির যুগ্ন-আহবায়ক আতাউর রশিদ বাচলচু বলেন, বৃহওর ফরিদপুর জেলায় কমপক্ষে তিন হাজার আবাসিক হোটেল আছে। একটি হোটেলেও বাহিরের মানুষ থাকার মত কোন সিট নাই। হোটেলেও ৩/৪ হাজার নেতা কর্মী অবস্হান করছেন। কোন হোটেলে সীট নাই তারপরও ঢালা বিছানা ও ফ্লোরে অবস্হান করছে সবাই।
আয়োজিত গন সমাবেশের ফরিদপুর মিডিয়া সেলের প্রধান এবি সিদ্দীকি মিতুল বলেন,
বিগত সাত দিন আগেই জেলা শহরের সহ আশপাশের উপজেলা গুলোর আবাসিক হোটের সমস্ত বুকিং হয়ে গেছে।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ আহবায়ক আবজাল হোসেন খান বলেন প্রশাসন যতই বাঁধা দিক কোন নেতাকর্মীকে আটকে রাখতে পারবে না। আমরা খবর পেয়েছি বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা শহর থেকে বিভিন্ন স্হরের মানুষ পায়ে হে্টে আসবে বলে শোনা গেছে।
দেখাগেছে, বরিশাল, বরগুনা,, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, শরীয়তুর জেলার উৎসুক বিত্রনপির নেতা কর্মীরা বিত্রনপির গনসমাবেশ কে সামনে রেখে, ফরিদপুর অঞ্চলের তাদের পুরোনো আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে বেড়াতে এসে সম্পর্ক ঝালাই করে নিয়ে সমাবেশ উপস্হিত হবেন।
ফরিদপুরে ৯ টি উপজেলার এমন কোন ইউনিয়ন নাই যে সেখানের আত্মীয় পরিচয়ে বিত্রনপির সমর্থ বেড়াতে আসেনি।
জাতীয় নির্বাহি কমিটির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুক,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ভুঁইয়া, কেন্দ্রী মহিলা দলের যুগ্ন-আহবায়ক নায়াব ইউসুফ ইনকিলাব কে বলেন,আওয়ামীলীগ মনে করেন, ফরিদপুর তাদের তীর্থস্থান।
আমাদের এই গনসমাবেশে অন্তত দেড় লাখ মানুষের উপস্হিতি দেখিয়ে প্রমান করবো এই মাটি প্রয়াত জননেতা কেম ওবায়দুর রহমান এবং রাজনৈতিক কিং মেকার চৌধুরী কামাল ইউসুফের বিত্রনপির ঘাটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।